bnp-1422713204

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২ জুলাই ২০১৫: তত্ত্বাবধায়ক দাবি থেকে সরে আসছে বিএনপি! দল পুনর্গঠন করে বিএনপি আবার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামবে।বিএনপি’র আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ, বিএনপি জ্বালাও- পোড়াওয়ে বিশ্বাস করে না।ঈদ শেষে খালেদা জিয়ার এ ঘোষণার রেশ কাটতে না কাটতেই, দলের নেতা-কর্মীদের নতুন করে গ্রেপ্তার-হয়রানির খবর আসতে শুরু করেছে। একপ্রকার জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই মসনদে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের প্রস্থানের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা না থাকলেও পর্দার অন্তরালে বেশ ব্যস্ত বিদেশিরা। নেপথ্যের তৎপরতা চলছে বেশ তড়িৎ গতি এবং সতর্কতার সঙ্গে। সরকারও খুব কৌশলী ভূমিকায়। কাউকে বুঝতে দিতে চাচ্ছে না আসলে কী হচ্ছে বা হতে যাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতসহ সরকার বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোও বুঝেশুনে পা ফেলছে। রাজনৈতিক দল ও কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন না দিয়ে পারছে না সরকার। এক্ষেত্রে সরকারের উপর অনেকটাই বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউসহ শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার চায়। যে নির্বাচনে বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নেবে এবং বাংলাদেশের মানুষ তাদের পছন্দের সরকার নির্বাচন করতে পারবে। আর এবারের এ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের প্রভাবশালী প্রতিবেশি ভারতেরও চাপ রয়েছে ।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, এসব গ্রেফতার অভিযান শুরু হয়েছে মূলত নতুন আন্দোলনের আশংকা থেকেই। গত এপ্রিলে তিন সিটি নির্বাচনের পর থেকে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার অভিযান প্রায় বন্ধই ছিলো বলা যায়। এই সুযোগে নেতা-কর্মীরাও অনেকটা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়েছে। কিন্তু, এখন আবার নতুন করে গ্রেফতার অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশের দৌড়-ঝাঁপ বেড়ে গেছে। ফলে নেতা-কর্মীরাও আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই হুমকি দিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য ঈদের পর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে।রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দল পুনর্গঠন করে বিএনপি আবার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামবে।বিএনপি’র আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ, বিএনপি জ্বালাও- পোড়াওয়ে বিশ্বাস করে না

রোববার রাতে ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পটুয়াখালী পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, রাজীবের বিরুদ্ধে ঢাকায় একাধিক মামলা রয়েছে এবং ফেরীঘাটে তাদের গাড়ি তল্লাশি করে ৪৫টি ইয়াবা নেশার ট্যাবলেট পাওয়া গেছে।প্রায় একই সময়ে রোববার রাত ১১টার দিকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের রাজধানীর রামপুরার বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে এ সময় আকরামুল বাসায় ছিলেন না।এর আগে রোববার দুপুরে নরসিংদীর শিবপুরে আকরামের গ্রামের বাড়িতেও পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে।ওদিকে, রোববার বিকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাগুরা জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমানকে। পুলিশ জানিয়েছে, বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধ চলাকালে গত ২১ মার্চ সন্ধ্যায় মাগুরা-যশোর সড়কে একটি ট্রাকে পেট্রোল বোমা হামলায় ৫ শ্রমিক নিহত ও ৪ শ্রমিক গুরুতর দগ্ধ হন। মিজান ওই মামলায় অন্যতম আসামি। এছাড়াও মিজানের বিরুদ্ধে মাগুরার ভায়না মোড়ে ট্রাক পোড়ানোসহ নাশকাতার একাধিক মামলা রয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ঈদের ছুটি শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলার শুনানির তারিখ ধার্য করেছে আদালত।খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলার মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুটি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের শুনানির নির্ধারিত দিন ২৩ জুলাই।উচ্চ আদালতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া দুর্নীতির মামলা বাতিল করতে জারি করা রুলের শুনানি চলছে। এ ছাড়া গত ১৯ জুন নাইকো মামলার রুল বাতিল করে খালেদা জিয়াকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন আদালত।তাছাড়া, ড্যান্ডি ডায়িং নামক শিল্প প্রতিষ্ঠানের ঋণের বিষয়ে আরাফাত রহমানের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারী হিসেবে মা বেগম খালেদা জিয়া, আরাফাতের বিধবা স্ত্রী ও দুটি নাবালিকা সন্তানের নামও নতুন করে মামলায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

বিদ্যমান সাংবিধানিক ব্যবস্থা, উদ্ভূত রাজনৈতিক বাস্তবতা, আঞ্চলিক রাজনীতির প্রেক্ষাপট ও দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা বিবেচনায় নির্বাচনকালীন ‘নির্দলীয়-নিরপেক্ষ’ বা ‘তত্ত্বাবধায়ক’ সরকার পদ্ধতির দাবি থেকে সরে আসার বিষয়ে সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা চলছে বিএনপিতে।তত্ত্বাবধায়কের বদলে যে কোনো ব্যবস্থা’য় সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং দেশে ও আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আদায়কেই প্রধান লক্ষ্য নির্ধারণ করতে যাচ্ছে দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। সংশোধিত এই দাবি আদায়ে নতুন করে আন্দোলনে যাওয়ার আগে দল গুছানোরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গুছানোর এই উদ্যোগে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি’তেও পুনর্গঠন আসছে বলে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে।পরবর্তী আন্দোলনের আগে দল পুনর্গঠনের কথা বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেই। শনিবার রোজার ঈদের দিন শুভেচ্ছা বিনিময়ের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির নামে শুধু মামলা আর মামলা। আমাদের অনেক নেতা-কর্মী জেলে আছে। কত ছেলে যে গুম হয়েছে, তার হিসাব নেই। কাজেই বিএনপিকে এখন পুনর্গঠন করতে হবে। এরপর আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করব।

নতুন করে আন্দোলনে যাওয়ার আগে দল পুনর্গঠনের পাশাপাশি এতদিনের ‘নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন’-এর দাবিতেও সংস্কার এনে বাস্তবভিত্তিক এক দফার কর্মসূচিতে যাওয়ার বিষয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের প্রাথমিক ধারণা দিয়েছেন খালেদা জিয়া। সম্প্রতি দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দাবিটিকে জনগণের কাছে আরও পরিষ্কার ও বাস্তবধর্মী করতে হবে, যেন দাবির পক্ষে ব্যাপকভিত্তিক জনমত গড়ে ওঠে। ওই বৈঠকে থাকা দলের স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য এবং একজন ভাইস চেয়ারম্যান ইত্তেফাককে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তত্ত্বাবধায়কের দাবি থেকে সরে আসার চিন্তা-ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক তো মূল সমস্যা নয়। আমরা চাই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সেই নির্বাচনটি যেন সবার অংশগ্রহণে এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, সেটিই মূল কথা। আমাদের মূল দাবিও তাই।এ প্রসঙ্গে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য একটি নির্বাচন কীভাবে করা যায়, সেই প্রক্রিয়া বের করতে দরকার আলাপ-আলোচনা বা সংলাপ। সংলাপের মধ্য দিয়ে এই ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছানো গেলেই সংকটের সমাধান মিলবে।

বিএনপির নীতিনির্ধারণী একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, নির্বাচনকালীন অনির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে ক্ষমতাসীনদের সম্মত করতে পারার আশা নেই বললেই চলে। বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোয়ও একদিনের জন্যও অনির্বাচিত সরকার ব্যবস্থার সুযোগ রাখা হয়নি। এছাড়া এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিতেও যে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদবিরোধী অবস্থান এবং নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে, সেটিকেও সক্রিয় বিবেচনায় নিচ্ছে বিএনপি নেতৃত্ব। এ কারণে তত্ত্বাবধায়ক নয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আদায়কেই এখন সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি। দলটির বিশ্বাস, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে এবং ফল ঘোষণায় অনিয়ম না হলে সরকার পরিবর্তন সম্ভব।বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আলাপকালে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক তো আমাদের দাবির মূল ফোকাস নয়। জনগণ যেন তাদের ভোটাধিকার ফিরে পায়, সবার অংশগ্রহণে যেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়– সেটিই আমাদের দাবি। যদি তত্ত্বাবধায়কের বিকল্প কোনো ব্যবস্থায়ও এটি সম্ভব হয়, তা হলে সমস্যা কী।সূত্রমতে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান শনিবার ঈদের রাতে তার গুলশানের বাসায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সম্মানে যে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন সেখানেও বিএনপির নতুন চিন্তা-ভাবনা এবং সামগ্রিক রাজনীতির বিষয়টি উঠে এসেছে। ওই নৈশভোজে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দার নিকোলায়েভ, চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন, কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনওয়া পিয়েরে লাঘামে ছাড়াও নেদারল্যান্ডস, কোরিয়া, ফ্রান্স, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কূটনীতিকরা যোগ দেন।

এদিকে নির্বাচন প্রশ্নে সম্ভাব্য সংস্কারকৃত দাবি আদায়ে পরবর্তী আন্দোলন যেন আর ব্যর্থ না হয় এবং দলে নতুন গতি সঞ্চার করার লক্ষ্যে বিএনপির সর্বস্তরে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটিতেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গেছে, বয়সের ভারে দুর্বল, আন্দোলন ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে ধারাবাহিকভাবে নিষ্ক্রিয় এবং অবিশ্বস্তদের স্থায়ী কমিটি থেকে বাদ দেয়া হতে পারে। এই তালিকায় চার থেকে পাঁচজনের নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের আপিল বিভাগের রায় হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ২৯ জুলাই। তিনি চূড়ান্তভাবে দণ্ডিত হলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার পদ খালি হবে। সবমিলিয়ে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় স্থায়ী কমিটিতে কয়েকজন নতুন মুখ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ, ভাইস-চেয়ারম্যান, যুগ্ম-মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হতে পারে।এ বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন দল গুছিয়ে উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সঠিক নেতৃত্ব আনতে পারাই এখন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কেননা পরিচ্ছন্ন, মেধাসম্পন্ন, বুদ্ধিদীপ্ত, ত্যাগী ও সাংগঠনিক দক্ষ নেতৃত্বের অভাবেই আমাদের আন্দোলন বারবার মার খাচ্ছে। সর্বস্তরেই জিয়াউর রহমানের আদর্শের এবং অপেক্ষাকৃত তরুণ এই ধরনের যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেক্ষেত্রে স্থায়ী কমিটিতেও পরিবর্তন আসতে পারে।’ আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, নানা কারণে এতদিন দল গুছানোর সুযোগ ছিল না, নেতাকর্মীরা বিচ্ছিন্ন ছিলেন। এখন দলকে গুছিয়ে তারপর বিএনপি আন্দোলনে যাবে।

সূত্রমতে, সম্প্রতি খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে এবং একক সাক্ষাতেও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কেউ কেউ তাকে বলেছেন-আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নসহ দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণে নেতাদের সমন্বিত মতামতকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। জানুয়ারি থেকে তিন মাসের আন্দোলনসহ এর আগে-পরেও বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দলীয় নেতারা উপেক্ষিত হয়েছেন জানিয়ে তারা দলের প্রধানকে এ-ও বলেছেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দলীয় নেতাদের চেয়ে গুলশান কার্যালয়ের কোনো কোনো কর্মকর্তা বেশি প্রাধান্য পেয়েছেন, যা আন্দোলন সফল না হওয়ার একটি কারণ। জানা গেছে, দলের নেতাদের এই পরামর্শ গ্রহণ করেছেন খালেদা জিয়া। এখন থেকে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে স্থায়ী কমিটির নিয়মিত বৈঠক ডেকে মতামত নেয়া হবে বলে তিনি দলের নেতাদের আশ্বস্ত করেছেন।