দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২ জুলাই ২০১৫: অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য চতুর্থ ও শেষ দফায় আবেদন করেছে ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী।গত ১৩ জুলাই থেকে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে এসব শিক্ষার্থী আবেদন করেন।ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আসফাকুস সালেহীন বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) যে কোনো সময় চতুর্থ মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে।অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়ায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডকে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বুয়েটের আইআইসিটি।ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ৪৭ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। ভর্তির বাইরে রয়েছেন আরও এক লাখের বেশি শিক্ষার্থী। এরমধ্যে পছন্দের কলেজ না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে তিন তালিকা থেকে ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি।এ বিষয়ে কলেজ পরিদর্শক বলেন, সব শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তি হতে পারবে। অনলাইনে হোক আর ম্যানুয়ালি হোক, কোনো শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তির বাইরে থাকবে না। চতুর্থ তালিকা প্রকাশের সময় এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে।
যারা প্রথম থেকে তৃতীয় দফায় আবেদন ফি প্রদান করেও কলেজে ভর্তি হতে পারেনি, তাদের চতুর্থ ধাপে ফি প্রদান ছাড়া আবেদনের সুযোগ দেয় শিক্ষা বোর্ড। অন্যরা টেলিটক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ১৫০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করেছে।চতুর্থ ধাপের ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা ২৫-২৬ জুলাই ভর্তি হতে পারবে বলে জানিয়েছেন কলেজ পরিদর্শক আসফাকুস সালেহীন।২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সারা দেশে অনলাইন ও এসএমএসে আবেদন করার নতুন নিয়ম চালু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।কিন্তু অনলাইন প্রক্রিয়ায় কারিগরি জটিলতার মধ্যে নির্ধারিত সময়ের তিন দিন পর গত ২৮ জুন মধ্যরাতে প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে ১১ লাখ ৫৬ হাজার ২২৪ জন প্রার্থীর মধ্যে মনোনীত হয় ৯ লাখ ২৩ হাজার ১০৫ জন।গত ৬ জুন দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়, যাতে মনোনীত হয় ১৭ হাজার ৬৪৭ জন।আর তৃতীয় তালিকায় প্রকাশ করা হয় গত ১১ জুলাই, এতে স্থান পায় এক লাখ আট হাজার ৬৩৯ জন শিক্ষার্থী।তিন দফায় শিক্ষার্থীদের অনেকেই পছন্দের কলেজ না পাওয়া এবং ‘ভুল’ বিভাগ মনোনয়নের কারণে সমালোচনার মুখে পড়ে অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া।