দৈনিকবার্তা-লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ), ২২ জুলাই ২০১৫: মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া (মাওয়া) ঘাটে ঈদে ফেরা রাজধানীমূখী মানুষের ভীর। এত বিরম্বনার পরেও বুক ভরা আনন্দ নিয়ে ফিরছে রাজধানীতে কর্মমূখী মানুষ। দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সাথে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌরুটে লঞ্চ যাত্রীদের ভীর দেখা যায়।বৈরি আবহাওয়ায় জীবনের ঝুকি নিয়েই তারা লঞ্চে চড়ে। থেমে থেমে ভারি বৃষ্টিসহ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অবিরাম ঝড়ছে। দূর্ভোগ মাথায় নিয়ে ছুটছেন যাত্রীরা যার যার গনতব্যে। স্পীড বোট ও ফেরিতে তেমনটা চাপ নেই তবে লঞ্চে ও বাসে যাত্রীদের কিছুটা ভীর দেখা যায়। যাত্রীরা জানান, যাওয়া আসায় কষ্ট হলেও তারা স্বজনদের সাথে বেশ আনন্দ ও মজা করেছেন ঈদে। তবে অনেকে আবার বলছেন বৃষ্টিটা না থাকলে আরো বেশী আনন্দ হতো।
এদিকে, শিমুলিয়া কাওড়াকান্দি নৌরুটের পদ্মায় ড্রেজিং কাজ শুরু করা হয়েছে ।এর আগে অব্যাহত পানি হ্রাস,¯্রােতের তীব্রতায় ধেয়ে আসা অসংখ্য পলিতে শিমুলিয়া কাওড়াকান্দি নৌরুটে দেখা দেয় নাব্যতা সঙ্কট।এতে করে ¯্রােতের ঘূর্ণাবর্তে পলি জমে জমে নৌরুটে ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে ডুবোচর। এদিকে জরুরীভিত্তিতে নৌরুটের স্বাভাবিক নাব্যতা আনয়নে বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগ গত কাল সকাল থেকে পলি অপসারণের কাজ শুরু করেছে।এক্ষেত্রে বিআইডব্লি¬উটিএর ড্রেজার -১৩৭ দিয়ে পলি অপসারণ কাজ শুরু করা হয়।এছাড়া আরো একটি ড্রেজার-১৩৫ এখানে আসার পথে থাকলেও পদ্মায় ¯্রােতের কারণে ড্রেজিং কাজ প্রচন্ড কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে বলে জানা যায়। বিআইডব্লি¬উটিসির মেরিন অফিসার মোঃ শাজাহান ও আহমেদ আলী জানান, বর্তমানে এ চ্যানেলের লৌহজং টার্নিংয়ে খুবই ঝুুঁকিপূর্ণ অবস্থা দেখা দিয়েছে।এ চ্যানেলের মুখে পানির ঘূর্ণাবর্তে দ্রুত আড়ি (ডুবোচর) নেমে আসছে মূল চ্যানেলের দিকে।বৃহস্পতিবার এ পয়েন্টে সাড়ে ৭ফুটে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ব্যাপারে বিআইডব্লি¬উটিএর সহকারী প্রকৌশলী(ড্রেজিং) ইকবাল হোসেন জানান,সোমবার থেকে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে বিআইডব্লি¬উটিএর ড্রেজার -১৩৭ দিয়ে পলি অপসারণ কাজ শুরু করা হয়েছে।এছাড়া আরো একটি ড্রেজার -১৩৫ এখানে আসার পথে রয়েছে ।