দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯জুলাই ২০১৫ : ঈদের ছুটির মধ্যে সিরাজগঞ্জে যমুনা সেতুর পশ্চিমপাড়ে দুই বাসের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।এদিকে, চট্টগ্রাম নগরীতে দেয়াল ও পাহাড় ধসে পৃথক ঘটনায় মা- মেয়ে ও তিন ভাইবোনসহ ৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। রোববার ভোর ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় সংযোগ মহাসড়কে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের মুলিবাড়িতে এই দুর্ঘটনায় আরও অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।চট্টগ্রাম থেকে রংপুরগামী সাবির পরিবহন এবং গাইবান্ধা থেকে ঢাকাগামী ‘আজাদ পরিবহন’ এর বাস দুটির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।দুর্ঘটনার পর সকাল ৮টার দিকে ১৪ জনের লাশ উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২৪ জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হলে নেওয়ার পথে আরও দুইজনের মৃত্যু হয় বলে সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন দেবপ্রদ রায় জানান।
সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর আহত অনেককে আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হলেও পরে সবাইকেই সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে।নিহতদের মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন- আজাদ পরিবহনের চালক গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার পার্বতীপুর গ্রামের মেনহাজ প্রধান (২৮), একই উপজেলার মোহাদিপুর গ্রামের লিটন (৪২), আমিনুল ইসলাম (২৫), দুবলাগাড়ি গ্রামের মিলন (২২), গাইবান্ধা সদরের সবুজ (২০), বগুড়ার দুপচাচিয়া উপজেলার চামুর গ্রামের জিল্লুর রহমান (৪৬), দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মন্মথপুর কৈবর্ত্যপাড়ার চান বাবু (২২), চিরিরবন্দর উপজেলার পূর্নতী গ্রামের বিপ্লব (২৩), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পোড়াচাকলা কাশিমপুরের মোয়াজ্জেম হোসেনের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী মৌসুমী খাতুন (২০), বদরগঞ্জ উপজেলার নয়াপাড়ার আনোয়ারুল ইসলাম (১৯), রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কিশমত কাউলা গ্রামের আব্দুল কারি (৪৫), সোনারায় গ্রামের মফিজুর রহমান (৫০), তাম্বুল গ্রামের মাহাবুব (৪০) ও রুস্তম কারী (৮৫)।
সিভিল সার্জন দেবপ্রদ বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই আহত ৩৬ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ২৪ জনকে বগুড়ায় পাঠানো হলে পথেই মৌসুমী ও অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি মারা যান। তাদের লাশ বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।এদিকে, বেলা ২টা পর্যন্ত আটটি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং বাকি ছয়টি লাশ মর্গে রয়েছে বলে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।বগুড়ায় পাঠানোদের মধ্যে কয়েকজন হলেন- রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কেতাবগাঁও গ্রামের কাওসার (৪০), একই জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার শাহপাড়ার নেপাল চন্দ্র (৩০), দিনাজপুরের ফুলবাড়ির পাড়ইপাড়ার আসলামুজ্জামান (৩৪), সদরের সামাদ, নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বেলাল (৪৫) ও রাজ্জাক (৫০), বগুড়ার ধুনটের ইব্রাহিম (১৪), একই এলাকার ইনসাফ আলী (৩৫), শিবগঞ্জ উপজেলার ভানুপুরের মন্টু (৪৩) ও ভাটরা গ্রামের আবদুস সালাম (৫৪), নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পরাটারি গ্রামের কবির (২৪) ও সিরাজগঞ্জের বেলকুচির কৃষ্ণ (৩০), শহিদুল (৩৪), আমিনুল ইসলাম (৪৫), মেহেরাব (৩৪)।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, সেতু বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, র্যাব, জেলা ও বঙ্গবন্ধু সেতু থানার পুলিশ উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিভিল সার্জন ডা. দেবপ্রদ রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্রেনজন চাম্বু গং, সেতু বিভাগের ট্রাফিক ম্যানেজার মুজাহিদ উদ্দিন এবং সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিজাম উদ্দিন। জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন বলেন, লাশ পরিবহনের জন্য জনপ্রতি ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। আহতরা যাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পায় সে বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে।পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন বলেন, সাবির হোসেন পরিবহনের বাসটি রং-সাইড দিয়ে যাওয়ার কারণে দুর্ঘটনাটি হয়েছে। পুলিশ বাস দুটি জব্দ করেছে।দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়া উদ্দিন তালুকদার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেনজন চাম্বু গং, ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিজাম উদ্দিন ও বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক আশরাফ উজ্জামান।
চট্টগ্রাম: ১৯জুলাই ,ফোকাস বাংলা নিউজ: চট্টগ্রাম নগরীতে দেয়াল ও পাহাড় ধসে পৃথক ঘটনায় মা- মেয়ে ও তিন ভাইবোনসহ ৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দিনগত রাত ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা দু’টি ঘটে। জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার দিনগত রাতে খুলশী থানার বাঘঘোনায় দেয়াল ধসে এক নারী ও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে বায়োজিদ থানার আমিন কলোনি এলাকায় পাহাড় ধসে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসক স্যার আমিন কলোনি পরিদর্শন করেন।তাহমিলুর রহমান আরো বলেন, লালখান বাজারে দেয়াল ধসের ঘটনায় মরিয়ম বেগম ও সুরাইয়া আক্তারের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা ও আঁখি আক্তারের পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুদান দেয়া হয়েছে। এছাড়া আমিন কলোনির শাহজাহান মিস্ত্রির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামে পাহাড় ধস ঠেকাতে কার্যক্রম জোরদার করতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।এদিকে খুলশী থানার ওসি নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘খুলশী থানার বাঘঘোনা পুড়া কলোনি এলাকার খোকনের বাড়ির দেয়াল ধসে পাশের একটি কাঁচা বসত ঘরে পড়লে এতে ঘটনাস্থলেই মা- মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়। এরা হলেন- মা মরিয়ম বেগম (৩০), তার মেয়ে সুরাইয়া আক্তার (২) ও আঁখি আক্তার (৫)। অতি বর্ষণের ফলে এই ধসের ঘটনা ঘটেছে।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের সহকারি উপ-পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, নগরীর বায়োজিদ থানার আমিন জুল মিলের আমিন কলোনির ৫ নম্বর কোয়ার্টারের শাহজাহান মিস্ত্রির ঘরে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘরের ভেতর মাটি চাপা পড়ে শিশুসহ সাতজন আহত হলে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক উম্মে সালমা (৮), আরাফাত হোসেন শুভ (১২) ও বিবি মরিয়ম (৪) নামের তিন শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা প্রত্যেকে একে অপরের ভাই- বোন ও শাহজাহান মিস্ত্রির সন্তান। অন্য চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অতিরিক্ত বর্ষণের ফলে এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ।এদিকে গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের নিঁচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর মুরাদপুর, ২নং গেট, বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ও বাসাবাড়িতে পানি উঠায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে রোববার সারাদিন বন্দরনগরী চট্টগ্রামে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ নিলুফার জাহান বলেন, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রোববার সারাদিনসহ আরো কয়েকদিন চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাত কমে আসবে।
নগরীর লালখান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের নিচে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের দ্রুত সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি। রোববার সকাল ১১টার দিকে মন্ত্রী লালখান বাজার পোড়া কলোনি এলাকায় পাহাড়ের নিচে দেওয়াল ধসে তিনজন নিহতের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদও ছিলেন।মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়া হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে চাল-ডাল দেয়ারও ঘোষণা দেন মন্ত্রী।মন্ত্রী লালখান বাজার পোড়া কলোনি এলাকায় পাহাড়ের নিচে যেসব মানুষ ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে তাদের দ্রুত সরিয়ে নেবার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের নিচ থেকে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেয়ার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেন মন্ত্রী।মন্ত্রীর একান্ত সচিব নিয়াজ মোরশেদ নিরু বাংলানিউজকে বলেন, মন্ত্রী মহোদয় দ্রুততার সাথে পাহাড়ের নিচ থেকে বসবাসকারীদের সরাতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া নগদ টাকা, চাল-ডাল দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।লালখান বাজারের পর মন্ত্রী আমিন কলোনিতে পাহাড় ধসের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বলে জানান নীরু।
লালখান বাজার পোড়া কলোনিসহ আশপাশের এলাকায় পাহাড়ের নিচে বসবাস করে এমন পরিবারের সংখ্যা জেলা প্রশাসনের হিসেবে ৬০০। এদের মধ্যে দু’শ পরিবারকে জুন মাসে বর্ষণের সময় সরিয়ে নেয়া হয়। বাকি আরও চার’শ পরিবারকে স্থানীয় শহীদনগর স্কুলে সরিয়ে নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ও দেওয়াল ধসে গত ৮ বছরে প্রায় ২০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে ২০০৭ সালের ১১ জুন স্মরণকালের ভয়াবহ পাহাড় ধসে চট্টগ্রামে ১২৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। ২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট লালখানবাজারের মতিঝর্ণা এলাকায় পাহাড় ধসে মারা যান ১১ জন, ২০০৯ ও ২০১০ সালে নগরীর পাহাড়তলী, সিআরবি, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে মারা যান আরও ১৫ জন।২০১১ সালের ১ জুলাই পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৮ জনসহ বাটালি পাহাড়ের রিটেইনিং দেয়াল ধসে ১৭ জন মারা যান। ২০১২ সালে ১৭ জুন নগরীর ফিরোজ শাহ কলোনিসহ বিভিন্ন এলাকায় ২৩ জন মারা গেছেন। ২০১৩ সালে পাহাড় ও দেয়াল ধসে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৫ জনের।২০০৭ সালে পাহাড় ধসের ঘটনার পর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে একটি কমিটি ২৮টি কারণ নির্ধারণ করে ৩৬টি সুপারিশ প্রণয়ন করে। তবে সুপারিশগুলো আজ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নগরীর ১১টি পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ৬৬৬টি পরিবার বসবাস করছে। এর মধ্যে নগরীর একে খান মালিকানাধীন পাহাড়ে ১৮৬ পরিবার, ইস্পাহানি পাহাড়ের দক্ষিণ পাশে হারুন খানের পাহাড় ও বায়তুল আমান সোসাইটির কাছে পাহাড়ে ৫টি, কৈবল্যধাম বিশ্ব কলোনি পাহাড়ে (পানির ট্যাংক) ২৭টি, লেকসিটি আবাসিক এলাকার পাহাড়ে ১২টি, আকবর শাহ আবাসিক এলাকা পাহাড়ে ২২টি, পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে সিটি কর্পোরেশন পাহাড়ে ১১টি, ফয়েজ লেক আবাসিক এলাকার কাছে পাহাড়ে ৯টি, ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অ্যাকাডেমির উত্তর পাশে মীর মোহাম্মদ হাসানের মালিকানাধীন পাহাড়ে ৩৮টি, নাসিরাবাদ শিল্প এলাকা সংলগ্ন পাহাড়ে ৩টি, জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি সংলগ্ন পাহাড়ে ৩৩টি, মতিঝর্ণা ও বাটালি হিল পাহাড়ে ৩২০টি পরিবার ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। এ ১১টি পাহাড় ছাড়াও আরো ১৪টি পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি রয়েছে।চট্টগ্রামের সরকারি- বেসরকারি পাহাড়গুলোতে প্রভাবশালীদের সহায়তায় নিম্ন আয়ের লোকজন অবৈধভাবে বসতি গড়ে তোলে। প্রতি বছরই চট্টগ্রামে পাহাড় ও মাটি ধসে বিভিন্ন এলাকায় লোকজন মারা যায়।
জামালপুর: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাসুদ (২৮) নামে মোটরসাইকেলের এক আরোহী নিহত হয়েছেন। রোববার (১৯ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।মাসুদ দি ফার্মাস ব্যাংকের কর্ণধার মুক্তিযোদ্ধা বাবুল চিশতি বাড়ীর তত্ত্বাবধায়ক (কেয়ারটেকার) ছিলেন।স্থানীয়রা জানান, দুপুরে মোটরসাইকেলে করে বকশীগঞ্জ থেকে উঠানোপাড়া যাচ্ছিলেন মাসুদ। পথে ড্রামব্রীজ এলাকায় শ্যালো ইঞ্জিন চালিত একটি ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখামুখি সংর্ঘষ হলে ঘটনাস্থলেই মাসুদের মৃত্যু হয়।বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নাটোর :নাটোরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আব্দুল মান্নান নামে এক সিনিয়র আইনজীবী নিহত হয়েছেন। রোববার (১৯ জুলাই) দুপুরে শহরের কানাইখালি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত আব্দুল মান্নানের বাড়ি নাটোর শহরের মীরপাড়া এলাকায়। তিনি নাটোর আদালতের সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে শহরের কানাইখালি এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় একটি মোটরসাইকেল আব্দুল মান্নানকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ অবস্থায় এলাকার লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে উদ্ধার নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে অ্যাম্বুলেন্সে করে বগুড়া নেওয়ার পথেই মারা যান তিনি।নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।