দৈনিকবার্তা-গোপালগঞ্জ,১৯জুলাই ২০১৫ : এবার প্রেমের কারণে জীবন দিতে হলো গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের তুহিন মোল্যাকে (১৮)।রোববার ভোরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে সে মারা যায়। এছাড়া নিহতের বাবা শওকত আকবর মোল্যা দুই হাত ও দুই পা কেটে ফেলা হয়। তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহতের লাশের মায়না তদন্তের জন্য দুপুরে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হয়। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এঘটনার পর থেকে লায়েক মোল্লা ও তার ছেলেরা এবং সঙ্গীরা পলাতক রয়েছে। খবর পেয়ে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম এমরান হোসেন দুপুরে ঘটনাস্থান পরিদর্শন করছেন।এ ঘটনায় আহত অপর দুই জন হলেন তাদের আত্মীয় আঃ কাশেম মোল্যা (১৬) ও ফিরোজ মোল্যা (৪০)। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপের চিহ্ন রয়েছে। তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও গোপালগঞ্জে ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারলে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, বড় ভাই লায়েক মোল্লার মেয়ের সাথে শওকত আকবর মোল্লার ছেলে তুহিন মোল্লার প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। আজ ঈদের দিন বিকেলে তারা দু’জন বাইরে ঘুরতে গেলে লায়েক মোল্লা ও তার ছেলেরা তুহিন মোল্লাকে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে নিয়ে দুই চোখ তুলে ফেলে ও দুই হাত কেটে শরীর থেকে বিছিন্ন করে দেয়। এসময় তুহিনের বাবা শওকত আকবর মোল্লা ও আরো দুই আত্মীয় বাঁচাতে গেলে শওকত আকবর মোল্লার দুই হাত ও দুই পা কুপিয়ে কেটে ফেলে। এতে অপর আরো দুই জন আহত হয়।পরে তাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জে ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারলে হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতেই ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে তুহিন মোল্যা মারা যায়। বাকী দুইজনের মধ্যে আঃ কাশেম মোল্যাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ফিরোজ মোল্যাকে গোপালগঞ্জে ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারলে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারলে হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ অনুপ কুমার মজুমদার জানান, শওকত আকবর মোল্যারও অবস্থা আশংকাজনক। শওকত আকবর মোল্যার দুই হাত ও দুই পা শরীর থেকে কেটে ফেলতে হবে। তার এখানে চিকিৎসা না থাকায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাকির হোসেন মোল্লা জানিয়েছেন, আপন চাচাত ভাই বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। তুহীন মোল্লা ভোরে মারা গেছে। প্রতিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে তারা এলাকা ছেড়ে পলিয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।