দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ জুলাই ২০১৫: ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিচার চলবে কি না- তা জানা যাবে ২২ জুলাই৷ মেঘালয়ের বিচারিক হাকিম কেএমএল নংব্রি বুধবার এ মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য এই দিন ঠিক করে দেন৷বিএনপির এই নেতা অনুপ্রবেশের অভিযোগ স্বীকার করলে বিচারক ওইদিনই রায় জানিয়ে দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন পাবলিক প্রসিকিউটর আইসি ঝা৷ভারতের পাসপোর্ট আইনে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে৷ সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে সাত জনকে৷আইসি ঝা বলেন, সালাহ উদ্দিন মামলা লড়তে চাইলে কয়েকদিনের মধ্যেই বিচারকাজ শেষ হতে পারে৷ এ ধরনের ক্ষেত্রে আদালত সাধারণত দুই-তিনটি শুনানির পরই রায় দিয়ে দেন৷
ঢাকা থেকে উধাও হওয়ার দুই মাস পর গত ১১ মে ভারতীয় ওই রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে হদিস মেলে সালাহ উদ্দিনের৷ বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে ঢোকার অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৪ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়৷ গত ৩ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেয় মেঘালয় পুলিশ৷অভিযোগপত্রে ভারতে এই বিএনপি নেতার আকস্মিক উপস্থিতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি অভিযোগের বিচার এড়াতে তা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷আদালত থেকে জামিন নিয়ে স্ত্রী ও কয়েকজন স্বজনের সঙ্গে শিলং শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকছেন সালাহ উদ্দিন৷ তার শিলং ত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ তবে সালাহ উদ্দিনের ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এ মুহূর্তে দেশে ফিরে গ্রেপ্তার হওয়ার চেয়ে ভারতেই দীর্ঘ সময় অবস্থান করতে আগ্রহী বিএনপির এই নেতা৷ সালাহ উদ্দিনের পরিবার ভারত থেকেই চিকিত্সার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর নিতে চায়৷ তবে এজন্য এর আগে তারা আদালতের অনুমতি চাইলেও তা নাকচ হয়ে যায়৷
এখন তার পরিবার ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেশত্যাগের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করে তা আদালাতে জমা দেওয়ার চেষ্টা করছে৷ অন্তত শিলং ত্যাগে আদালতের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকতে চান বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রটি৷