মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি

দৈনিকবার্তা-সিলেট, ১৫ জুলাই ২০১৫: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বুধবার সিলেটে পিটুনিতে হত্যার শিকার হওয়া শিশু শেখ মো. সামিউল আলমের (রাজন) বাড়িতে গেছেন। এ সময় অনুদান হিসেবে সামিউলের বাবা-মাকে এক লাখ টাকার চেক দেন তিনি।উপস্থিত এলাকাবাসীদের উদ্দেশে মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, রাজন একটি শিশুর নাম।ওই শিশুটিকে টওকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আবার হত্যাকারীরা সে ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিতে ভিডিও করেছে। হত্যাটাকে তারা আনন্দ হিসেবে নিয়েছে। এ পিশাচ হত্যাকারীদের কোনো মাফ নেই।

এ সময় এলাকাবাসী প্রতিমন্ত্রীর কাছে সামিউল হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত বিচার আইন বা বিশেষ ট্রাইব্যুনালে করার দাবি জানান।আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে চুমকি বলেন, মামলার কয়েক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হবে।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী অনুদান হিসেবে সামিউলের বাবা ও মায়ের কাছে এক লাখ টাকার চেক দেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামিউলের ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার জন্য প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়।এ ঘটনার খুনিদের আড়াল করতে পুলিশের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে করা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় কোনো পুলিশ খুনিদের আড়াল চেষ্টা করছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, সিলেটের শিশু শেখ মো. সামিউল আলম রাজনকে (১৪) হত্যা মামলার আসামি চৌকিদার ময়না মিয়াকে সাত দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এদিকে মামলার তদন্তভার থানা-পুলিশ থেকে গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) স্থানান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হওয়া চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়নাকে বুধবার দুপুরে সিলেটের মহানগর হাকিম আদালত-২ এ হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালতের বিচারক শাহিদুল করিম ময়নার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. রহমত উল্লাহ বলেন, সামিউল হত্যা মামলার তদন্তভার জালালাবাদ থানা-পুলিশ থেকে গোয়েন্দা পুলিশে স্থানান্তর করা হয়েছে।পুলিশের একটি সূত্র জানায়, জালালাবাদ পুলিশের বিরুদ্ধে সামিউলের বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে এ মামলার বাদী জালালাবাদ থানার উপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামকে থানা থেকে প্রত্যাহার হয়।জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন বলেন, দুপুরে দুলাল আহমেদ নামের এক ব্যক্তিকে ধরে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। মামলার এজাহারে দুলালের নাম না থাকলেও তিনি সামিউলকে নির্যাতন ও ভিডিওধারণ দাঁড়িয়ে থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।