দৈনিকবার্তা-সাতক্ষীরা, ১৫ জুলাই ২০১৫: সাতক্ষীরায় সোনালী ব্যাংকের কলারোয়া শাখা থেকে দুই আনসার সদস্যের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।পুলিশের ধারণা, ব্যাংক লুট করতে না পেরেই’ তাদের জবাই করা হয়েছে।নিহত আনসার সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন ও আসাদুজ্জামান আসাদ রাতে ওই ব্যাংক শাখার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।এর মধ্যে জাহাঙ্গীর (৩২) কলারোয়া উপজেলার ঝাঁপাঘাট গ্রামের কায়েম হোসেনের ছেলে। আর আসাদ সদর উপজেলার হরিশপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে। শবে কদরের ছুটি থাকায় সব ব্যাংকের মত কলারোয়ার ওই শাখাও বুধবার বন্ধ ছিল। সেখানে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে কলারোয়া থানা পুলিশ সকালে ওই শাখা ঘিরে ফেলে এবং দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে বলে ওসি আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান।তিনি বলেন, গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা কোনোভাবে ব্যাংকের ভেতর ঢোকে। তবে ব্যাংকের গেইট ভাঙা বা তালা ভাঙ্গার কোনো চিহ্ন মেলেনি।
ব্যাংকের ভেতরে কাগজপত্র ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় পাওয়া গেলেও টাকা খোয়া যায়নি বলে জানান ওসি। কলারোয়া থানার এস আই মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনাস্থল থেকে জানান, জবাই করা লাশ দুটি ব্যাংকের সিঁড়িতে পড়ে ছিল।সন্ত্রাসীদের চিনে ফেলায় ধস্তাধস্তির পর তাদের জবাই করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মোদাচ্ছের হোসেনও সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।সোনালী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার ডিজিএম খান শহিদুল ইসলাম বলেন, ভল্ট ভাঙতে না পারায় কোনো টাকা খোয়া যায়নি। ডাকাতির চেষ্টার সময় দুই প্রহরী বাধা দেওয়ায় এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে।এর আগে গত মে মাসে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের শাখায় এক নিরাপত্তারক্ষীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়।তার আগে গত এপ্রিলে সাভারে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের কাঠগড়া বাজার শাখায় ঢুকে বোমা মেরে, গুলি চালিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক, নিরাপত্তারক্ষীসহ তিনজনকে হত্যা করে ক্যাশ থেকে টাকা লুট করে ডাকাতরা।তারা বেরিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা প্রতিরোধ করলে ডাকাতদের গুলি ও বোমায় আরও চারজন নিহত হন। জনতার ধাওয়ার মুখে সন্দেহভাজন ডাকাতদের দুজন মোটর সাইকেল থেকে পড়ে গেলে গণপিটুনিতে নিহত হন একজন। অন্যজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই দিন পর হাসপাতালে মারা যান।