দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫ জুলাই ২০১৫: ঈদকে সামনে রেখে চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে।বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট- সর্বত্র চাঁদাবাজরা দখল করে নিয়েছে। তারা সবাই সরকারি দলের লোক। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য এই চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করতে হবে।বুধবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন একথা বলেন।তিনি বলেন, ঈদের আর মাত্র দুইদিন বাকি আছে। প্রাকৃতিক অবস্থাও ভালো না। তাই আমি সরকারকে বলতে চাই যে, বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তারের পন্থা অবলম্বন না করে ঘুরমুখো মানুষ যাতে নিরাপদে পরিবারের কাছে ফিরতে পারে তার ব্যবস্থা নিন। চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করুন। দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের প্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে দেশের হানাহানি ও সংঘাতের রাজনীতি দূর হবে আশা করেন বিএনপির এই নেতা।
রিপন বলেন, শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কে আমরা রাজনীতিতে সুখ ও শান্তির বার্তা হিসেবে দেখছি।তবে ঈদের পরেই পুরনো ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সরকারি দল যেনো কথার রাজনীতিতে লিপ্ত না হয় সেন ব্যাপারেও খেয়াল রাখার আহ্বান জানান তিনি।তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে প্রতিটি ঈদেই চাঁদাবাজি হয়, যা নতুন কিছু নয়। তবে এবারের ঈদে সরকারের লোকজনের চাঁদাবাজির হার মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে।
আশা করেছিলাম সরকার এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে চাঁদাবাজি বন্ধ করবে। কিন্তু দেশবাসী হতাশ হয়েছে।কেননা, সরকার চাঁদাবাজি বন্ধ করতে এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।এ সময় তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ঈদ-উল ফিতরের এখনও দু’দিন বাকি। আশা করবো সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এটি বন্ধ করবে। ঈদে মানুষের নির্বিঘ্ন যাতায়াতে মনোযোগী হবে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন,ঈদের ছুটিতে মানুষ ঢাকার বাইরে যায়। সেই সুযোগে চোর-ডাকাতের উৎপাত বেড়ে যায়। রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে।তাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অহ্বান জানাবো, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে তৎপর না হয়ে আইন-শৃঙ্খলার যেন অবনতি না হয় সেদিকে নজর দিন।তিনি বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ অনেক নেতাকর্মী এখনও কারাগারে আটক আছেন। আশা করি সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে মুক্তি দিয়ে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের সুযোগ করে দেবে।সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ কাইয়ুম, যুব বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালেক শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মৎস্য দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।