দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ জুলাই: রাজধানী ছাড়ছে ঈদে ঘরমুখো মানুষ।মঙ্গলবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ছিল ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ভীড়। সময়ের তুলনায় ২০০ টাকা বেশি ভাড়া নিচ্ছে পরিবহনগুলো। সোমবার থেকেই ট্রেনে অগ্রিম টিকিট কাটা যাত্রীদের যাত্রা শুরু হয়েছে।তবে ট্রেন ছাড়তে কিছুটা দেরি হলেও এ ধরনের সমস্যা দ্রুতই কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে জানিয়েছেন স্টেশন ম্যানেজার।এদিকে, বাস টার্মিনালগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। এখনও তেমন ভীড় লক্ষ্য করা যায়নি ঈদে ঘরমুখো মানুষের। সোমবার রাতে শেষ হয়েছে টিকিট নিতে আসা যাত্রীদের দীর্ঘ লাইনের পালা।
এখন শুধু অপেক্ষা কখন আসবে ট্রেন, কখন দেখা হবে প্রিয়জনের সঙ্গে। রেলস্টেশনে শুরু হয়ে গেছে ঘরমুখো মানুষের ভীড়।সময়ের আগেই যেন ভরে উঠছে কমলাপুর রেলস্টেশন। ট্রেন এলেই যেন ঘটবে অপেক্ষার প্রহরের অবসান। যথাসময়ে আসবে ট্রেন আর যাত্রা হবে আনন্দের এমনটাই প্রত্যাশা ঈদে ঘরমুখো মানুষের। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সিডিউল ঠিক থাকলেও প্রতিদিনই দুই একটি ট্রেন ছাড়তে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান স্টেশন ম্যানেজার।১৫ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত রাখা হয়েছে স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা।
এছাড়াও ঈদের দিন ভৈরব-কিশোরগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ-এ এক জোড়া করে ট্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।এদিকে, বাস টার্মিনালগুলোতে ঈদে ঘর মুখো যাত্রীদের তেমন ভীড় নেই। তবে দু একদিনের মধ্যে ভীড় বাড়বে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ।এদিকে, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভিড়ে মো. ইব্রাহীম (২০) নামে এক রুটি ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি নৌকা করে রুটি বিক্রি করছিলেন এমন সময় একটি লঞ্চের ধাক্কায় তিনি নদীতে পড়ে যান।মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল ৪টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের মামা মো. সবুজ জানান, সদরঘাট ১৩ নম্বর প্লাটুনে এ ঘটনাটি ঘটেছে। পেছন থেকে লঞ্চ এসে তার নৌকায় ধাক্কা দেয়। এতে তিনি নদীতে পড়ে যান। তিনি আরও জানান, মো. ইব্রাহীমের গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের পাতারহাট থানার বাজপুর গ্রামে।কোস্টগার্ডের মো. শাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহ মিডফোর্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছে। টার্মিনাল সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদ যাত্রীদের নিরাপত্তায় বাস, লঞ্চ ও ট্রেন স্টেশনে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চোর, পকেটমার, মলমপার্টি, অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য কমাতে স্টেশনগুলোতে র্যাব-পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি অপরাধীদের তাৎক্ষণিক সাজা দিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বাসে যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেড়েছে। যারা অগ্রিম টিকিট নিয়েছেন তারা নির্দিষ্ট আসনে বসে যাত্রা করছেন। আর যারা অগ্রিম টিকিটের নাগাল পাননি তারা স্ট্যান্ডিং টিকিটেই ছুটছেন প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে। মহানগরীর বাস টার্মিনালগুলো ঘুরে দেখা যায়, কাউন্টারগুলো থেকে কাক্সিক্ষত টিকিট না পাওয়া যাত্রীরাই মূলত আগেভাগে স্ট্যান্ডিং টিকিটে বাড়ি ফিরছেন।
গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকেও বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে সকাল থেকে কয়েকশ’ বাস ছেড়ে গেছে। সন্ধ্যার পর নিয়মিত সার্ভিসের পাশাপাশি বেশ কিছু কোম্পানি স্পেশাল সার্ভিসেও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করে।গাবতলী বাস টার্মিনালে রংপুরগামী যাত্রী স্বপন শিকদার বলেন, বাচ্চাদের স্কুল ছুটি হয়ে গেছে। আগাম টিকিট পাইনি। তাই আগভাগে পরিবারের সদস্যদের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি। তিনি বলেন, বাস টার্মিনালে এসেই টিকিট পেয়েছি। অন্য সময়ের তুলনায় ২০০ টাকা বেশি ভাড়া নিচ্ছে পরিবহনগুলো।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্শেদ জানান, এ টার্মিনাল থেকে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার গাড়ি যাতায়াত করে। ঈদ উপলক্ষে যাত্রী উপস্থিত বেড়েছে। এসব যাত্রীর নিরাপত্তায় পুলিশ ও র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
গতকাল ১৭ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকিট বিক্রির মাধ্যমে শেষ হয়েছে ট্রেনের টিকিট। টিকিট না পেয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়া মানুষের অনেকেই পরিবার-পরিজনকে আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিতে সকালেই ভিড় করেছেন কমলাপুর স্টেশনে। বেশি টাকায় কালোবাজারিদের কাছ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কিনেছেন কেউ কেউ।ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে ঝুঁকিপূর্ণ পুরনো একাধিক লঞ্চ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। এতে ঘটতে পরে বড় ধরনের দুর্ঘটনা, হতে পারে ব্যাপক প্রাণহানি।ঢাকা-চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-কুমিল্লা- ফেনী থেকে পিরোজপুরগামী যাত্রীদের ওই ঝুঁকিপূর্ণ পুরনো লঞ্চগুলোতেই আনা নেয়া করা হবে। আগামী ১৪ই জুলাই থেকে লঞ্চগুলো চলাচল শুরু হয়ে চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত।
কাউখালী লঞ্চঘাট সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে কাউখালীগামী লঞ্চ শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন ছেড়ে আসে ১টি করে। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বেশি হওয়ায় ওই একটি লঞ্চ যাত্রী বহনের জন্য খুবই অপ্রতুল। ফলে পুরনো পিএস অস্ট্রিস, পিএস মাসুদ, পিএস টার্নসহ আরও বেশ কয়েকটি পুরনো রকেট সংস্কার না করেই ঈদের যাত্রী বহনের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসি অফিস সূত্রে জানা যায়, একটি বড় লঞ্চ যাত্রী বহন করতে পারে সবমিলিয়ে ৬শ জন। কিন্তু ঈদের সময় এর যাত্রী সংখ্যা দ্বিগুণ এমনকি তিনগুণ ছাড়িয়ে যায়। ফলে ঝুঁকিনিয়েই ওই পুরনো লঞ্চগুলো ঈদে চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।এদিকে, গাবখান চ্যানেল থেকে কাউখালী লঞ্চঘাট পৌঁছতে এসব লঞ্চ বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে। নৌ সিগন্যাল না মেনেই এ চ্যানেলে জাহাজ চলাচল করে। ঈদের সময় যখন অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবে তখন কাউখালীর স্টিমার ঘাটে স্টিমার না ভিড়িয়ে মাঝ নদীতে ভাসমান অবস্থায় যাত্রীদের ওঠানামা করানো হয়।
ফলে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঝ নদীতে ট্রলারে গিয়ে ওঠানামা করতে হয়। সবমিলিয়ে এবারের ঈদে কাউখালী, স্বরূপকাঠী, রাজাপুর ও ভান্ডারিয়াগামী স্টিমার যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে মনে করছেন যাত্রীরা।অন্যদিকে, কাউকাখী লঞ্চঘাটের টিকিট যারা করবেন তাদের জন্য লঞ্চে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কোনো কেবিন রাখা হয়নি। ফলে ঘরমুখো যাত্রীদের আত্মীয় স্বজনেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অতিরিক্ত একটি বিশেষ লঞ্চের ব্যবস্থা করা হলেও সেটি ঢাকা-বরিশাল পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে।
এ ব্যাপারে কাউখালী বিআইডব্লিউটিসি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, লঞ্চের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কোটা না থাকায় আমাদের যাত্রীদের জবাব দিহিতা করতে হয়। এছাড়া লঞ্চে ঈদের সময় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ ও তিনগুণ যাত্রী বাধ্য হয়ে বহন করতে হয়।
বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রী উপস্থিতি বেশি : ঈদ উপলক্ষে বাড়ি যেতে শুরু করেছেন যাত্রীরা। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় মঙ্গ বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রী উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বাস ও লঞ্চ কোম্পানি তাৎক্ষণিক টিকিট বিক্রি করেছে। বিআরটিসি ও বিআইডব্লিউটিসির ঈদ স্পেশাল সার্ভিস চালু হচ্ছে। রাজধানীর বাস টার্মিনাল গাবতলী, মহাখালী, গুলিস্তান ও সায়েদাবাদে সোমবার সারা দিনই যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। সন্ধ্যায় ঢাকা নদী বন্দর (সদরঘাট) এলাকায় একই চিত্র ছিল।
বেসরকারি বাস কোম্পানি হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মো. মোশাররেফ হুসেন বলেন, ঈদের আগাম টিকিট নেয়া যাত্রীরা গন্তব্যে যেতে শুরু করেছেন। এখনও অনেক গাড়ির টিকিট বিক্রি হচ্ছে। তবে ১৫ ও ১৬ জুলাইয়ের কোনো টিকিট নেই। ওই দুই দিন যাত্রীদের ভিড় বেশি হবে। তিনি জানান, মহাসড়কগুলোতে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতা নেই। স্বাভাবিক সময়ের মতোই বর্তমানে ঢাকা-বরিশাল ৬-৭ ঘণ্টা, ঢাকা-খুলনা ৮ ঘণ্টা, ঢাকা-যশোর সাড়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা, ঢাকা থেকে নওগাঁ, জয়পুরহাট ও গাইবান্ধা সাড়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ও রংপুরে ৭ ঘণ্টা সময় লাগছে।
এভাবে চলতে থাকলে বাস কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত ট্রিপ দিতে পারবে বলেও জানান তিনি।নামিদামি বাস কোম্পানিগুলো আগাম টিকিট বিক্রি করলেও গাবতলী বাস টার্মিনালে তাৎক্ষণিক টিকিট বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া মহাখালী, সায়েদাবাদ ও গুলিস্তান বাস টার্মিনালে বাস ছাড়ার আগে টিকিট সংগ্রহ করেছেন যাত্রীরা। দূরপাল্লার রুটগুলোর নামিদামি বাসগুলো আসন অনুযায়ী যাত্রী বহন করলেও অন্য বাসগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে।
টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইট বিডিটিকিটস ডটকম : এদিকে টিকিট ক্রয়ের বিড়ম্বনা আর দুর্ভোগ কমাতে অনলাইনে টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইট বিডিটিকিটস ডটকম। জুন মাসে বাসের টিকিট বিক্রি দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ওয়েবসাইটটি। আগামীতে রেল, লঞ্চ ও মুভি দেখার টিকিটও পাওয়া যাবে। বিডিটিকিটস ডটকম রিয়েল টাইম ডিজিটাল টিকিট প্লাটফর্ম বলে জানালেন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আবদুর রহিম। তিনি বলেন, টিকিটের জন্য বাসের কাউন্টারে যেতেই হতো। সেটি এখন দরকার পড়ে না। হাতে সময় নিয়ে টিকিট কেটে নেই। পেমেন্ট সিস্টেমও সুবিধাজনক। টিকিট কাটার পর এসএমএস চলে আসে। সেটি দেখিয়ে যাত্রা করলেই হল।
বাসের মালিকরাও বলছেন, সেবাটি চালু হওয়ায় গ্রাহকের যেমন উপকার হয়েছে আমরাও লাভবান হচ্ছি। বিডিটিকিটস ডটকমে ২২টিরও বেশি বাস কোম্পানি দেশের ৫শ’র মতো রুটে নন-এসি ও এসি বাস চালু করেছে। বাস মালিক সমিতির সঙ্গে যৌথভাবে সেবাটি দিচ্ছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড। দেশ ট্রাভেলসের ম্যানেজিং পার্টনার বজলুর রহমান রতন বলেন, সেবাটি সাড়া ফেলেছে। অনেক যাত্রী কাউন্টারে এসেও জেনে নিচ্ছেন সেবাটি কীভাবে পেতে হয়। ন্যাশনাল ট্রাভেলসের জেনারেল ম্যানেজার কায়সার আহমেদ বিপুল বলেন, ঈদে বিডিটিকিটস থেকে ভালোই সাড়া পেয়েছি। যাত্রীসেবা নিয়ে আমরা সব সময় নতুন কিছু করতে আগ্রহী। বিডিটিকিটসের পরিবহন পার্টনার হিসেবে তাই আমরা এগিয়ে এসেছি। মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড বিডিটিকিটসের সেবাটি গত ১৪ জুন চালু করে।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করেও টিকিটের মূল্য পরিশোধ করা যায়। এ ছাড়াও ভিসা, মাস্টার ও ডিবিবিএল নেক্সাস কার্ডে পরিশোধ করা যায় টিকিটের মূল্য। রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুপুন বীরাসিংহে বলেন, আমরা মানুষের প্রতিদিনের ব্যস্ততম সময়ের মধ্যে টিকিট ক্রয়ের যে ঝামেলা পোহাতে হয় সেটা থেকে মুক্তির একটা চেষ্টা করছি। আশা করছি, সেবাটি গ্রাহকের উপকারে আসবে।বিডিটিকিটসের মাধ্যমে টিকিট কেনার পর কোনো কারণে তা বাতিল করলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পাবেন ক্রেতা। বাসের টিকিটের দাম ঠিক যত বিডিটিকিটস ডটকম ব্যবহারকারী ঠিক তত টাকাই পরিশোধ করবেন।