দৈনিকবার্তা-পাবনা, ১৪ জুলাই: পাবনায় গৃহকর্মীকে নির্যাতন গৃহকর্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। শহরের খেয়াঘাট পাড়ার বাসা থেকে নির্যাতিত গৃহকর্মী তাসলিমা খাতুনকে উদ্ধার ও নির্যাতনকারীকে আটক করা হয়। আটককৃত গৃহকত্রী কলেজ শিক্ষক ইমাম হোসেনের স্ত্রী কামরুন্নাহার মৌসুমি। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসানুল হক জানান, সোমবার রাত ১০ টার দিকে স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, ২০১০ সালে খেয়াঘাট পাড়ার সুব্রত চক্রবর্তী বাবনের বাড়ির ৩য় তলায় ভাড়া নেন সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ইমাম হোসেন। চলতি বছরের মে মাসে তার শ্বশুর বাড়ির এলাকা গাজিপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার হরতকীরটেক গ্রামের মৃত দুলাল হোসেন সরলের মেয়ে তাসলিমাকে বাড়ির কাজের জন্যে নিয়ে আসে। ওই গৃহকর্মীকে বাড়িতে আনার পর থেকেই তার স্ত্রী মৌসুমী অমানুষিক নির্যাতন চালাতে থাকে।
গৃহকর্মী তাসলিমা নির্যাতন সইতে না পেরে গত ১১ জুলাই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে সে ৩ দিন না খেয়ে ওই মহল্লায় এসে বাড়ির সামনে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে এবং কিছু খাওয়ার ব্যবস্থা করে। পরে মেয়েটি তার উপর নির্যাতনের বর্ণনা দিলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে এবং তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
নির্যাতনের স্বীকার তাসলিমা বলেন, গত ৩ দিন ধরে আমি কিছুই খাই নাই। এই বাড়িতে আমাকে আনার পর থেকেই মৌসুমী ম্যাডাম আমাকে ব্যাপক মারপিট করে। বটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় মেয়েটি তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের চিহ্ন দেখায় উপস্থিত সংবাদকর্মী ও পুলিশ সদস্যদের। সে কান্না জড়িত কন্ঠে আরো জানান, গরম খুন্তি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়িয়ে দিয়েছে।