দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ জুলাই ২০১৫: ড্যান্ডি ডাইং কোম্পানির ৪৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপি মামলায় আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জবাব দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া।অপর বিবদী আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে আগামী ৩০ আগস্ট জবাব দেয়ার জন্য পুনরায় দিন ধার্যে করেছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী জবাব দাখিল করলে আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস জবাব গ্রহণ করে অপর বিবাদীদের জবাব দাখিলে ব্যথ হলে আগামী ৩০ আগষ্ট ইস্যু গঠনের জন্য দিন ধার্য করেছেন।সোনালী ব্যাংকের দায়ের করা ৪৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের এ মামলাটি চলছে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে। এ আদালতে গত ৮ মার্চ খালেদাসহ অন্যদের বিবাদীভূক্ত করার আবেদন জানিয়েছিলেন সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন।আরাফাত রহমান কোকো এ মামলার বিবাদী ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ায় খেলাপি ঋণ দেওয়ানি কর্মবিধি আইনের ২২নং আদেশের নিয়ম ৪ অনুসারে তার সম্পদের ওয়ারিশরা বিবাদীভূক্ত হবেন। তাই তার ওয়ারিশ হিসেবে খালেদা জিয়া, স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদীভূক্ত করার আবেদন জানানো হয়েছে।
এদিকে কোনো ছেলে না থাকায় বড় ভাই তারেক রহমানও কোকোর সম্পদের ওয়ারিশ। তবে তারেক রহমান এ মামলায় আগে থেকেই বিবাদী হওয়ায় তাকে নতুন করে বিবাদীভূক্ত করার আবেদন জানানো হয়নি।মামলার অপর বিবাদীরা হলেন ড্যান্ডি ডায়িং লি., প্রয়াত সাঈদ এস্কাদরের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমান, আরাফাত রহমান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, মিসেস শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফ্ফর আহমেদ মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে এ মামলায় বিবাদীভুক্ত করা হয়।২০১০ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হলেও বিবাদীরা কোনো ঋণ প্রদান করেননি বিধায় গত বছরের ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণ খেলাপীর অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্র“য়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন।ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনকৃত ঋণ মঞ্জুর করেন।২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ করেন। এরপর ঋণ পুনঃ তফসিলিকরণও করা হয়।কিন্তু বিবাদীরা ঋণ প্রদান না করে বরাবর কালক্ষেপন করতে থাকেন।