দৈনিকবার্তা-বগুড়া, ১২ জুলাই ২০১৫: বগুড়ায় পরিবহন সার্ভিসগুলোর বিরুদ্ধে ঈদ পরবর্তী কর্মক্ষেত্রে যাওয়া যাত্রীদের হয়রানি, টিকিট কালোবাজারি এবং টিকিট প্রতি ভাড়া বেশি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যাত্রীদের জন্য অগ্রিম টিকিট নিতে গেলে টিকিট নেই , পরে আসেন, শেষের দিকে সিট আছে কিংবা সকালে এসে লাইন ধরেন ইত্যাদি বলে হয়রানি করা হচ্ছে। ভোগান্তি এড়াতে ঈদ শেষে সঠিক সময়ে গন্তব্যে ফিরতে অনেকেই তাদের ছলচাতুরি বুঝেও বেশি দামে টিকিট কিনছেন। সময় নির্ধারন করে টিকিট বিক্রির নিয়ম না থাকায় পরিবহন সংশ্লিষ্টরা যে যেভাবে পারছেন যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি পয়সা আদায় করছেন। বগুড়ার কয়েকটি বাস কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু অসৎ ব্যক্তি টিকিট কালোবাজারি করে যাত্রীদের ভোগান্তি আর বিড়ম্বনা বাড়িয়ে তুলেছেন। সার্ভিসগুলোর বিরুদ্ধে কেউ কথা না বলায় ইচ্ছে মতো চলছে তাদের টিকিট বিক্রি। এবার ঈদে বগুড়া থেকে ঢাকায় যেতে প্রতি টিকিটে ১’শ টাকা বাড়িয়ে সাড়ে ৪’শ টাকা দাম নির্ধারন করা হয়েছে। কিন্তু কাউন্টারগুলোয় ঈদের পরের দিন থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত কোন টিকিট দেয়া হচ্ছে না। কাউন্টারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এসব তাবিখের সব টিকিটই বিক্রি হয়ে গেছে।
জোরাজুরি করলে শেষের ২/১ টি সিট ফাঁকার কথা বলছেন, তাও আবার ভোরের ট্রিপে। যাত্রী হয়রানির সত্যতা যাচাইয়ে গত রোববার সকাল সাড়ে ১০ টায় টি আর ট্রাভেলস সাতানীবাড়ী সংলগ্ন কাউন্টারে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রতি টিকিট বগুড়া টু ঢাকায় দাম নেয়া হচ্ছে সাড়ে ৪’শ টাকা। যাত্রীবেশে আগামী ২২ জুলাইয়ের ঢাকা গাবতলীর একটি টিকিট চাইলে কাউন্টার থেকে অপারগতা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু পরক্ষণেই বলা হয় টিকিট আছে কিন্তু শেষের সিট দেয়া যাবে। ভোরবেলার ট্রিপে আপনি যেতে পারবেন। একই কাউন্টারে বেশি টাকা দিয়ে টিকিট বিক্রেতার আত্মীয়ের পরিচয়ে একই তারিখের টিকিট পাওয়ারও নজির দেখা গেছে। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ। পরিবার পরিজন নিয়ে সবাই মিলে ঈদ উদযাপনে জন্মভূমিতে আসেন। ঈদ শেষে যে যার কর্মক্ষেত্রে ফিরে যান। কিন্ত এই যাতায়াতে যত বাধা , যত বিপত্তি,যত ভোগান্তি। যাতায়াতের সমস্যায় পড়ে অনেকের খুশির ঈদটাও ভালভাবে কাটে না। বিশেষ করে ঢাকা ও চিটাগাং এই দুই স্থানে কর্মজীবী, স্টুডেন্ট, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বেশি যাতায়াত করেন। এই দুই স্থানের যাত্রী বেশি হওয়াই পরিবহন সংশ্লিষ্ট অসৎ লোকজন যাত্রীদের বিপাকে ফেলে বেশি টাকা-পয়সা আদায়ে ব্যস্ত থাকেন। দীর্ঘ দিন ধরে এ অবস্থা চলে আসলেও এর কোন প্রতিকার নেই। এসব বিষয় নিয়ে জানতে টি আর ট্রাভেলস এর জেনারেল ম্যানেজার অব্দুল মান্নান মন্ডল -এর মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।