দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১২ জুলাই ২০১৫: সুপ্রিমকোর্টের আদেশ অনুযায়ী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাস্থ্যের পরীক্ষার একটি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)৷ রোববার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ এ প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন৷ বিষয়টি জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম৷ ফখরুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওনও বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন৷
এ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আগামীকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আপিল বিভাগ পল্টন থানায় পুলিশের করা পৃথক তিন মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের ওপর আদেশ দেবেন৷গত ৯ জুলাই আপিল বিভাগ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করে একটি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষকে৷ সে হিসেবে আজ বিকেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ প্রতিবেদন জমা দেয়৷
উল্লেখ্য, পল্টন থানায় করা পৃথক তিন মামলায় গত ২১ জুন হাইকোর্ট মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন আদালত৷ সে আদেশের স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার বিচারপতির কাছে গেলে, চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান৷ছয় মাস ধরে কারাবন্দি ফখরুল বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিত্সাধীন৷ ফখরুল অসুস্থ হয়ে পড়লে আদালতের নির্দেশে গত ১৩ জুন তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়৷
চলতি বছর বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে আটক করে তাকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷বিচারিক আদালতে এসব মামলায় জামিন না পেয়ে হাইকোর্টে যান ফখরুলের আইনজীবীরা৷ এর মধ্যে পল্টন থানায় গাড়ি পোড়ানো, অগি্নসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের এক মামলায় গত ১৬ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের জামিন পান মির্জা ফখরুল৷এরপর পল্টন থানার দু’টি এবং মতিঝিল থানার এক মামলায় ১৮ জুন পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত ফখরুলকে জামিন দেন হাইকোর্ট৷আর পল্টন থানার অন্য তিন মামলায় অন্তবর্র্তীকালীন জামিন মঞ্জুর হয় গত ২১ জুন৷ পরে রাষ্ট্রপক্ষ আদেশ স্থগিতে আপিল বিভাগে গেলে সেখানেও ফখরুলের জামিন বহাল থাকে৷ বর্তমানে ২১ জুনের আদেশের বিষয়টি আপিল আদালতের বিবেচনাধীন ৷