Jhenidah Flood Photo 11-07-15 (2)

দৈনিকবার্তা-ঝিনাইদহ, ১১ জুলাই ২০১৫: কয়েক মাস পুর্বে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিয়েছিল ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মানুষ। নতুন উদ্যোমে শুরু করে মাছ চাষ। কিন্তু এবারও ক্ষতির সম্মুখিন হতে হলো তাদের। উপজেলার ৫ শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। বাওড়, পুকুর, বিল একাকার হয়ে গেছে। সহায় সম্বল বিক্রি করে মাছ চাষ করে সবই ভেসে গেল বৃষ্টির পানিতে। সব হারিয়ে দিশেহারা উপজেলার ৫’শ মাছ চাষী।

জানা যায়, মহেশপুর উপজেলার, কাজীড়বেড়, যাবদপুর, মান্দারবাড়ীয়া, আজমপুর, পান্তাপাড়া, শ্যামকুড়, স্বরুপপুর ইউনিয়নে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে ৫ শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে কয়েক কোটি টাকার। বৃষ্টি আর নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় পুকুরের সব মাছ ভেসে গেছে। সেই সাথে তলিয়ে গেছে মাঠের ফসল। রাস্তা-ঘাট, বাড়ীঘর পানিরে নিচে। বিল বাওড়ে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। সবকিছু হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মাছ চাষীরা।

Jhenidah Flood Photo 11-07-15 (1)যাদবপুর ইউনিয়নের সস্তারবাজার এলাকার মাছ চাষী মশিয়ার রহমান জানান, তার ৭ টি পুুকুররের মাছ বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে। ৫ লাখ টাকার মাছের পোনা সবই পানিতে ভেসে গেছে। সর্বশ্ব হারিয়ে দিশেহারা তিনি। একই এলাকার রিপন হোসেন জানান, তার ১৩ টি পুকুরের ১০ লাখ টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এখন কোনমত জাল দিয়ে পুকুরের ধারে বাধ দেওয়া হয়েছে। কিছুটা ক্ষতি পোশাতে পারবেন তিনি। নলপাতুয়া গ্রামের হামিদুল ইসলাম ও জাকির হোসেন জানান, তাদের ধান, পাট ও পুকুরের সব মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে তাদের ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তারা জানান।

নলপাতুয়া ও সাকোর বিল লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছিলো হাবিবুর রহমান ও আব্বাস আলী। ১০০ বিঘা জমির এই দুটি বিলে কাজ করতো প্রায় ১০০ জন শ্রমিক। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ২ টি বিলের সব মাছ ভেসে গেছে। এতে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ নবী নেওয়াজ এমপি বলেন, আমি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ্পরিদর্শণ করেছি।

Jhenidah Flood Photo 11-07-15 (5)কয়েক মাস পুর্বে এ এলাকার কৃষকের প্রচন্ড শিলাবৃষ্টির সম্মুখিন হয়। শিলাবৃষ্টিতে কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এসময় সরকার সহযোগীতা করেছেন। এখন বৃষ্টিতে এ উপজেলার কয়েক’শ পুকুর পানিতে ডুবে গেছে। নষ্ট হয়েছে কয়েক হাজার বিঘা জমির ফসল। ফলে মাছ চাষী ও কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আমি ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সাহায্যে করার সর্বাত্বক চেষ্টা করবো।