দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ১০ জুলাই ২০১৫: দলকে আরো বেশি সময় দেয়ার জন্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের৷
শুক্রবার বাবুবাজার সেতু এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন৷ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী হয়তো মনে করেছেন, সৈয়দ আশরাফ অতিরিক্ত ভার বহন করছেন৷ দলে আরো বেশি সময় দেয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে৷তিনি বলেন, কাউকে কোনো পদে রাখা না রাখা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার৷ সরকার প্রধান যাকে প্রয়োজন মনে করেন তাকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেন৷ আবার সরিয়ে দেয়ার প্রয়োজন মনে করলে তাকে সরিয়ে দেন৷
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়৷ এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে৷ দলে আরও বেশি সময় দেওয়ার জন্যই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রির দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে বলে মনে করছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ওবায়দুল কাদের৷ সৈয়দ আশরাফকে হঠাত্ দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করার পর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী কাদের, যিনি নিজেও একসময় সাধারণ সম্পাদক পদের দাবিদার ছিলেন৷
কাদের বলেন, হয়ত তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মনে করেছেন, সে (সৈয়দ আশরাফ)অতিরিক্ত ভার বহন করছেন৷ দলে আরও ভাল করে বেশি সময় দেওয়ার জন্য এটা (দপ্তরবিহীন করা) হতে পারে৷দুদিন ধরে চলা গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়৷মন্ত্রণালয় এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বৈঠকে অনুপস্থিতি নিয়ে আশরাফের সমালোচনা ছিল দলে৷ গত মঙ্গলবার একনেক বৈঠকে আশরাফকে না দেখে শেখ হাসিনা অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলে বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন জানিয়েছেন৷২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বন্দি হওয়ার প্রেক্ষাপটে দলে সাধারণ সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের ভার আসে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী সৈয়দ নজরুলের ছেলে আশরাফের উপর৷ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদেরের নাম তার আগে আলোচিত হলেও তার ভাগ্যে সিকে ছেঁড়েনি৷মন্ত্রী হিসাবে কাজের ধরণ নিয়ে গত বছর আওয়ামী লীগের এ দুই প্রভাবশালী নেতার মধ্যে তীর্যক মন্তব্যবিনিময় হলে বিষয়টি গণমাধ্যমে নতুন আলোচনার জন্ম দেয়৷
কাউকে কোনো পদে রাখা না রাখাকে প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রধান যাকে প্রয়োজন মনে করেন তাকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেন৷ আর সরিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলে তাকে সরিয়ে দেন৷সাধারণ সম্পাদককে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করায় দলে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না বলেও মন্তব্য করেন কাদের৷তিনি বলেন, ভালো-খারাপ এ কয় বছর দেশ পরিচালনায় আপনারা দেখেছেন৷ তার (প্রধানমন্ত্রী) কোনো সিদ্ধান্ত বেঠিক হয়নি৷