দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৯ জুলাই ২০১৫: স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে বাদ পড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যুবলীগের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে ওই ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হলে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে স্বাগত জানিয়ে মঞ্চে নিয়ে গিয়ে বসান।তার কয়েক ঘণ্টা আগেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আশরাফকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ হয়।ওই প্রজ্ঞাপনে তাকে দফতরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার কথাও বলা হয়।সরকারের ওই সিদ্ধান্তের পর ক্ষমতাসীন দলের যুব সংগঠনের ইফতারে অংশ নিলেন সৈয়দ আশরাফ।
ইফতার ও আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। অনুষ্ঠানের বক্তা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ। এতে যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা অংশ নেয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে বাদ পড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যুবলীগের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে ওই ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হলে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে স্বাগত জানিয়ে মঞ্চে নিয়ে গিয়ে বসান।অনুষ্ঠানে বক্তব্যে আশরাফ তার মন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব বদলের বিষয়ে কিছু বলেননি। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আশরাফকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ হয়।মঙ্গলবার একনেক সভার পর আশরাফকে তার মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লেও সৈয়দ আশরাফ গুজবে কান না দিতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়েছিলেন।দুদিনের মধ্যে সেই গুঞ্জনের ভিত্তি পাওয়ার পর এটাই আশরাফের প্রথম প্রকাশ্য কোনো অনুষ্ঠান।অব্যাহতির ঘোষণা আসার আগে আশরাফ দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে ঘণ্টাখানেক একান্তে কথা বলেন। গত সাত বছর ধরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সামলে আসা ৬৩ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদেও রয়েছেন প্রায় একই সময় কাল।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বন্দি হওয়ার প্রেক্ষাপটে দলে সাধারণ সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের ভার আসে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী সৈয়দ নজরুলের ছেলে আশরাফের উপর।তখন বিরূপ পরিস্থিতিতে আশরাফের সফলতার মধ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল পরে মুক্তি পেলেও দায়িত্বে আর ফিরতে পারেননি। পরে ২০০৯ সালে কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আশরাফ।তার আগে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনার সরকারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আশরাফ। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন করলে দলের সাধারণ সম্পাদককে একই মন্ত্রণালয়ই দেন শেখ হাসিনা।বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো সরকার গঠনের ক্ষেত্রে সাধারণ সম্পাদককে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বটি দিতে স্বচ্ছন্দ। এর আগে শেখ হাসিনার সরকারে জিল্লুর রহমানও একইভাবে এই মন্ত্রণালয়ে ছিলেন। বিএনপির ক্ষেত্রেও একই বিষয় দেখা যায়।কিশোরগঞ্জের সংসদ সদস্য আশরাফ ছাত্রজীবনে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জেলখানায় সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর লন্ডনে চলে যান আশরাফ। সেখানে আওয়ামী লীগে সক্রিয় ছিলেন তিনি।১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ হাসিনার ওই সরকারে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হন আশরাফ।১৯৯৬ সাল থেকে প্রতিটি সংসদ নির্বাচনেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন তিনি।