doinikbarta_maya1

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৮ জুলাই ২০১৫: মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী পদে কোন কর্তৃত্ববলে বহাল আছেন তা জানতে চেয়ে আনা রিট আবেদন ফেরত দিয়েছে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ৷ বুধবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোসত্মফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে রিটটি উপস্থাপন করা হলে আদালত তা ফেরত দেয়৷ রাজনৈতিক মামলা হওয়ায় আদালত রিট আবেদনটি শুনতে অপারগতা প্রকাশ করে৷ একই সঙ্গে এই রিট শুনানির জন্য সিনিয়র কোনো বেঞ্চে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান রিট পিটিশনার আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দ৷

মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশিস্ন্ট শাখায় এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. মো. ইউনুছ আলী আকন্দ৷ রিট আবেদনে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও জাতীয় সংসদের স্পিকারকে রেসপনডেন্ট করা হয়েছে৷এর আগে গত ৩০ জুন এক লিগ্যাল নোটিশে রিট পিটিশনার দুর্নীতির মামলায় খালাসের রায় বাতিল হওয়ার পর কোন কর্তৃত্ববলে এখনও মন্ত্রী ও এমপি পদে রয়েছেন-মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কাছে এর জবাব জানতে চান৷ নোটিশে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ এর ২ (ঘ) দফা অনুসারে দন্ডিত ব্যক্তি সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী পদে থাকতে পারেন না৷ সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদে সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়েছে৷

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এমপিকে দুর্নীতি সংক্রানত্ম একটি মামলায় হাইকোর্টের খালাসের রায় বাতিল করে দেয়া আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ২৪ জুন প্রকাশ করা হয়েছে৷দুনর্ীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এ মামলায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায় বাতিল করে নতুন করে আপিল শুনানির আদেশ দিয়েছে গত ১৪ জুন রায় দেয় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ৷ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ দুনর্ীতি দমন কমিশনের (দুদক) লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেয়৷

জরুরি অবস্থার সময় ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত এ মামলায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে ১৩ বছরের কারাদন্ড দিয়ে রায় দেয়৷ ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট ওই রায় বাতিল করে দেয়৷ পরে দুদক ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে একটি লিভ টু আপিল করেন৷২০০৭ সালের ১৩ জুন দুদক সহকারী পরিচালক নূরুল আলম রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন৷ মামলায় মায়ার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়৷