দৈনিকবার্তা-রাজশাহী, ০৮ জুলাই ২০১৫: ২০টি রোজা পেরিয়ে গেলেও বাজার মনিটরিং ও প্রশাসনের নজর না থাকায় শুরু থেকেই ব্যবসায়ীরা দুর্গাপুরের বাজারগুলোতে নিম্নমাণের খেজুর বিক্রি করে চলেছেন। খুচরা ব্যবসায়ীরা মেয়াদোত্তীর্ন এসব নষ্ট খেজুর পাইকারদের কাছ থেকে আল্প দামে কিনে সেগুলো ধুয়ে-মুছে বিক্রি করছেন। মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানিকৃত মেডিসিনযুক্ত এসব খেজুর খেয়ে রোজাদরগণ ডায়রিয়া, আমশায়সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে গত বছরের মেয়াদোউত্তীর্ন ও খাবার অনুপযোগী খেজুর বিক্রি করা হচ্ছে। অসাধু খুচরা বিক্রেতারা এসব খেজুর বিক্রি করে চলেছেন। ফলে কার্টনের গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখও থাকছে না। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা গত বছর কমদামে এসব খেজুর কিনে ফরমালিন ব্যাবহার করে কোল্ড ষ্টোরে গুদামজাত করে রেখে দিয়ে তা এবার বেশি দামে বিক্রি করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুর্গাপুর বাজরে একজন খেজুর ব্যবসায়ী জানান, গন্ধ ও ভেজা খেজুর প্রক্রিয়াজাত করতে হয়। কিভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রথমে পরিস্কান পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর গা থেকে পানি ঝরে গেলে আঠালোভাব কমে যায়। এরপর বাতাসে শুকিয়ে নিলে আর কোন বাজে গন্ধ থাকে না। এমনকি দেখে বুঝার উপায় নেই যে এগুলো খেজুর অনেক পুরনো বা ফরমালিন দেওয়া। তবে সাধারন খেজুরের চেয়ে এগুলো কিছুটা কালচে রঙের।
উপজেলা কয়েজন খুচরা খেজুর ব্যবসায়ীরা জানান, রোজার শুরুর আগেই নিম্নমানের খেজুর বাজারে ঢুকেছে। বিভিন্ন পাইকারী দোকানদারদের কাছ থেকে উপজেলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে ওইসকল খেজুর । আর সেগুলো বাজারে আসার আগে কয়েক দফায় মজুদ করা ছিলো। যেসব জায়গায় মজুদ ছিলো এর বেশি ভাগই হলো গুদামজাত করে রাখা। এ বিষয়ে উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর হাফিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।