দৈনিকবার্তা-লালমনিরহাট, ০৮ জুলাই ২০১৫: রোগী পরিবহনের এ্যাম্বুলেন্সে করে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে চিকিত্সকরা দিনভর করলেন ঈদের কেনাকাটা৷ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রংপুর বিভাগীয় শহরে শপিং শেষে এ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালে পৌছে সন্ধ্যা ৭টার দিকে৷
এ দিকে এ্যাম্বলেন্স না পেয়ে দূর্ঘটনায় হাত ভেঙ্গে যাওয়া হাতীবান্ধার চরহলদী বাড়ি গ্রামের শামছুল হক ট্রেনেই চড়ে যান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল৷ এ্যাম্বুলেন্সে চরে শপিং করা হাসপাতালের চিকিত্সক ও কর্মকর্মারা হলেন, হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নঙ্রে মেডিকেল অফিসার ডা. নাঈম হোসেন, ডা. আক্কাছুর রহমান, মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্ট আনোয়ারম্নল ইসলাম, রম্নবেল হোসেন ও ওয়ার্ড বয় আক্তার হোসেন৷এ্যাম্বুলেন্সের চালক দবিয়ার রহমান জানান, ডা. নাঈম হৃদরোগে অসুস্থতাবোধ করায় তাকে নিয়ে রংপুর যাওয়া হয়েছিল৷ তবে ডা. নাঈমের কাছ থেকে রংপুরের চিকিত্সকের ব্যবস্থাপত্র দেখতে চাইলে তিনি যৌন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞো ডা. লুত্ফর রহমানের দেয়া আক্তারম্নজ্জামান নামে এক রোগী কাগজপত্র দেখান৷এ্যাম্বলেন্সে ভিতর রাখান শপিং ব্যাগগুলোর ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা. নাঈম বলেন, রংপুর গিয়েছিল তাই সবাই একটু কেনাকাটা করেছি মাত্র৷ এ্যাম্বুলেন্সে বসে থাকা অপর চিকিত্সক ডা. আক্কাছুর রহমান বলেন, আপনারা সাংবাদিক লিখে কিছুই করতে পারবেন না৷ যা মন চায় লিখে দেন আমাদের গাড়ি আমারা চড়েছি৷হাসপাতালে দীর্ঘক্ষন এ্যাম্বুলেন্সের অপেক্ষায় থেকে দুপুরের ট্রেনে রংপুর যাওয়া শামছুল হক মোবাইলে জানান, এ্যাম্বলেন্সের অপেৰায় থেকে না পেয়ে কষ্ট করে ট্রেনেই রংপুর এসেছি৷ এ হাসপাতাল গরিব রোগীর জন্য নয়, টাকাওয়ালা আর ডাক্তারদের৷
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে চিকিত্সকরা হাসপাতালে থাকেন না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ৷ গত রোববার চিকিত্সকের অবহেলায় আলমগীর হোসেন নামক এক ব্যবসায়ীর মৃতু্য হয়৷ এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা লাশ নিয়ে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক ৪ ঘন্টা অবরোধ করে হাসপাতাল ভাংচুর করে৷এরপরও সতর্ক হননি এ হাসপাতালের চিকিত্সকরা৷ পুরো হাসপাতাল ফাকা করে ৫জন চিকিত্সক কর্মকর্তা এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে দিনভর ঈদের কেনাকাটা করলেন রংপুরে৷এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নঙ্রে মেডিকেল অফিসার ডা. নাঈম হোসেন, ডা. আক্কাছুর রহমান, মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্ট আনোয়ারম্নল ইসলাম, রম্নবেল হোসেন ও ওয়ার্ড বয় আক্তার হোসেন৷এ্যাম্বুলেন্সের চালক দবিয়ার রহমান জানান, ডা. নাঈম হৃদরোগে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি৷