দৈনিকবার্তা-রাজশাহী, ০৮ জুলাই ২০১৫: রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তর দিকে এবং বাঘা উপজেলার আড়ানী বাস স্যান্ড থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে কালুহাটি গ্রাম। ওই গ্রামে ঈদকে সামনে রেখে তৈরি হচ্ছে বাহারি চটি স্যান্ডেল। সেই সাথে ব্যস্ততা বেড়েছে স্যান্ডেল তৈরির কারিগরদের। রমজানের প্রায় শুরু থেকে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন কারিগররা। অন্যান্য বারের মতো এবার সন্তোষজনক অর্ডার পেয়েছেন মালিকরা। তবে স্যান্ডেল তৈরির কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্যের দাম অন্যান্য বারের চেয়ে কিছুটা চড়া বলে জানান কারখানা মালিকেরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বছরের অন্যান্য মাসগুলোর তুলনায় তৈরি স্যান্ডেলের বিক্রি বেড়েছে কয়েক গুণ। মানের দিক দিয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্যান্ডেলের মতো টেকসই ওই সকল কারখানায় তৈরি স্যান্ডেলগুলো। স্থানীয়ভাবে তৈরি হওয়ায় দামে সস্তা। এ জন্য বিভিন্ন শ্রেণীর ক্রেতারা প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন ওই কারখানায়। ওই গ্রামে স্যান্ডেল তৈরির প্রায় অর্ধশত কারখানা রয়েছে। প্রায় কারখানায় সমানতালে চলছে বেচাকেনা। তবে রেডিমেড স্যান্ডেলের দোকান হওয়ায় বেচাকেনা আগের চেয়ে কিছুটা হলেও কমেছে বলে জানান কয়েকজন কারখানা মালিক।
দাম অন্যান্য বারের চেয়ে চড়া হওয়ায় বেচাকেনার ওপরে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। চামড়া, আঠা, সোল এবং সুতাসহ স্যান্ডেল তৈরির উপকরণের দাম বাড়ায় অন্যান্য স্থানের মতো কালুহাটিতে তুলনামূলক বাজার চড়া বলে মনে করছেন কারখানা মালিকেরা। ফ্যাক্টরির মালিক আবদুল মান্নান জানান, কারখানায় রেডিমেড সোল, দুই ফিতা, চটি, বেল্ট মডেলসহ বিভিন্ন ডিজাইনের তৈরি করা হচ্ছে স্যান্ডেল। তিনি আরো জানান, ঈদকে সামনে রেখে কারিগররা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আগে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কাজ চললেও বর্তমানে প্রায় সারারাত ধরে কারিগররা কাজ করছেন। এছাড়া কারখানার কারিগররা বিভিন্ন ডিজাইনের চটি তৈরি করছেন।
সর্বনি¤œ ১৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা দামের বিভিন্ন শ্রেণীর ক্রেতা ওই স্যান্ডেল কিনছেন। ছয় মাস গ্যার্যান্টিযুক্ত ওইসব স্যান্ডেল বাজারের অন্যান্য ব্র্যান্ডেড স্যান্ডেলের মতোই টেকসই বলে দাবি কারখানা মালিকের। একই সাথে সীমিত সুযোগ সুবিধা সত্ত্বেও মানসম্মত স্যান্ডেল তৈরির প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে বলেও তারা জানান।