মোবাইলে+ট্রেনের+টিকেট

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৬ জুলাই: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামী ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করবে।রেলওয়ে সূত্র জানায়, ৯ জুলাই ১৩ জুলাইয়ের যাত্রার, ১০ জুলাই ১৪ জুলাইয়ের যাত্রার, ১১ জুলাই ১৫ জুলাইয়ের যাত্রার, ১২ জুলাই ১৬ জুলাইয়ের যাত্রার এবং ১৩ জুলাই ১৭ জুলাইয়ের যাত্রার টিকেট বিক্রি করা হবে।সূত্র জানায়, একজন যাত্রীকে সর্বাধিক ৪টি টিকেট দেয়া হবে এবং বিক্রিত টিকেট ফেরত নেয়া হবে না।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদের ৩ দিন (১৫ থেকে ১৭ জুলাই) এবং ঈদের পরে সাতদিন (২০-২৬ জুলাই চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল) পাঁচজোড়া এবং পবিত্র ঈদের দিন সোলাকিয়া স্পেশাল ২ জোড়াসহ মোট ৭ জোড়া ট্রেন চালু করবে। ট্রেনগুলো হচ্ছে- ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে দু’জোড়া চাঁদপুর স্পেশাল, পার্বতীপুর-ঢাকা-পার্বতীপুর রুটে পার্বতীপুর স্পেশাল এবং খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে খুলনা স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। পবিত্র ঈদের দিন ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে সোলাকিয়া এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করবে।

আগামী ১৩ জুলাই থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের কোন বিরতি থাকবে না।যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে চলমান ট্রেনগুলোর সঙ্গে ১৬৯টি যাত্রীবাহী অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করবে। এ সময় কারখানায় মেরামত করে ২৫টি অতিরিক্ত ইঞ্জিন সরবরাহ করা হবে।উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়ে থাকে।পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্তৃপক্ষ টিকেট কালোবাজারী প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

এদিকে, ঈদের বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস চালু হচ্ছে আগামী ১৪ জুলাই থেকে। সোমবার সকালে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের সভাকক্ষে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।ঈদ উপলক্ষে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রী হয়রানি কমানোর পাশাপাশি এবং যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় এ ব্যাপারে বেশ কটি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।সভা শেষে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান, ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে বন্দর সমন্বয় কমিটি মনিটরিং কার্যক্রম শুরু করবে। প্রতিটি লঞ্চে দক্ষ মাস্টার ও চালকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের ইউনিফর্ম পরতে হবে। লঞ্চে পর্যাপ্ত পরিমাণ জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম রাখতে হবে। মাঝ নদীতে নৌকা দিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করা যাবে না। লঞ্চের ছাদে যাত্রী নেওয়া যাবে না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ হয়ে টার্মিনাল পর্যন্ত রাস্তা সার্বক্ষণিক একমুখী রাখতে হবে।

বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিএর সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালন) ে ভোলা নাথ দে, পরিচালক (বন্দর) মাহবুব আলম, অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদ, নৌ পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কোতোয়ালি অঞ্চলের এসি আহাদুজ্জামান ও সদরঘাট টার্মিনালের ইজারাদার আলমগীর হোসেন প্রমুখ।