Dhaka-new-market-660x330

দৈনিকবার্তা-রাজশাহী, ০৬ জুলাই ২০১৫: ঈদের মাত্র আর ১১দিন বাকী। এর মধ্যে ক্রেতাদের পদচারনায় মুখর হয়েছে নাটোরের ঈদ বাজার। নাটোর শহরের বিভিন্ন বিপনী বিতানগুলো বেচা বিক্রিতে ভীড় বেড়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভীড় বেড়েছে। পুরুষের চাইতে মেয়েদের উপস্থিতি অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। ব্যাপক ভীড়ের কারনে শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এবার দোকানে বিভিন্ন পোষাকের মূল্য বেশী হলেও ক্রেতারা তাদের পছন্দ মতো পোষাক ক্রয় করছে। তবে এবারই বড়দের পোষাকের মতো ছোটদের পোষাকে ভারতীয় সিরিয়াল অনুযায়ী নামকরণ করা হয়েছে। নাটোর শহরের বিসমিল্লাহ বস্ত্রালয়, উত্তরা প্লাজা, সাদেক কমপ্লেক্স, মুক্তি প্লাজা, মওলা বস্ত্রালয় সহ বিভিন্ন বিতানে উপচে পড়া ভীড়।এসব বিপনী বিতানে ক্রেতারা তাদের পছন্দ মতো কাপড় ক্রয় করছে। ভারতীয় সিরিয়ালের নামকরণে বিভিন্ন পোষাক উঠেছে। এসবের মধ্যে কিরণমালা, বজ্রমালা, ফ্লোর টাচ, লং ফ্রক, লং কামিজ, কটকটি ড্রেস বেশী চলছে। এসবের মধ্যে কিরণমালা পোষাক চলছে সবচেয়ে বেশী। কিরণমালা পোষাকের মূল্য দুই হাজার থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ফ্লোর টার্চ দুই হাজার পাঁচশ’ থেকে সাত হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। ছেলেদের পোষাকের মধ্যে মোদী, পাগলু-২, হিরোগিরি, বচ্চন বেশী বিক্রি হচ্ছে। পি,কে পোষাক এক হাজার ছয়শ’ থেকে সাত হাজার টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া মেয়েদের শাড়ি কাপড়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠান মওলা ক্লথ ষ্টোর, বিসমিল্লাহ বস্ত্রালয়, রাধাকৃষ্ণ বস্ত্রালয় ও শ্রীকৃষ্ণ ষ্টোরে বেশী ভীড়। এসব দোকান সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব দোকানে জামদানী, কাতান, সিল্ক, হাফ সিল্ক, টাঙ্গাইল সহ রকমারী শাড়ি বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার থেকে ১২ হাজার টাকায়। এছাড়া ছিট কাপড়ের দোকানে মেয়েরা পছন্দ মতো দামী কাপড় কিনে দর্জি দোকানে বিভিন্ন মডেলের সালোয়ার কামিজ ও কিরণমালা পোষাক বানাচ্ছে। ইতোমধ্যে দর্জি দোকান সমূহে অর্ডার নেয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া উত্তরা সুপার মার্কেটে কসমেটিক্স দোকানে মেয়েরা পছন্দ মতো চুড়িমালা সহ বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় করছে। এ মার্কেটে জুতার দোকান সমূহে ব্যাপক ভীড়। ক্রেতারা এসব দোকান থেকে পছন্দ মতো স্যান্ডেল-জুতো ক্রয় করছে গভীর রাত পর্যন্ত। ক্রেতারা জানান, গতবারের চেয়ে এবার পোষাকের মূল্য একটু বেশী। বিসমিল্লাহ বস্ত্রালয়ে আগত বাগাতিপাড়ার তকিনগরের কলেজ শিক্ষক মাসুম জানান, দেশী থ্রী-পিচের দাম কম, তবে দেশী কাপড়ের চেয়ে বিদেশী কাপড় ক্রয়ে এবার ক্রেতাদের আগ্রহ বেশী।