Rajshahi Market Road Block News 6-7-15দৈনিকবার্তা-রাজশাহী, ০৬ জুলাই ২০১৫: রমজানের ১৮দিন কেটে গেছে৷ আর মাত্র কয়েকটা দিন বাদেই মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উত্‍সব ঈদ-উল-ফিতর৷ তাই ঈদকে সামনে রেখে নগরীর সব-শ্রেণি পেশার মানুষের ব্যসত্মতা বেড়েই চলেছে৷ রমজানের শুরুর দিক থেকে ঈদের কেনাকাটা শুরু হলেও এখন পুরোদমে চলছে মানুষের কেনাকাটা৷ ঈদের কেনার কাটার মহোত্‍সবে অংশ নিতে মহানগরীর বাইরের মানুষেরাও এখন রাজশাহী শহরমুখী৷ শহরের বাজারগুলোতে প্রতিনিতই বাড়ছে ভীড়৷ শহরের বাড়তি মানুষের চাপ ও যানবাহন বাড়ায় নগরীতে বেড়েছে যানজট৷ এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সবাইকে৷

জানা গেছে, নগরীর অন্য এলাকার চেয়ে এখন সবচেয়ে বেশি যানজট হচ্ছে সাহেব বাজার এলাকায়৷ এখন প্রায় প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত অবধি নগরীর আলুপট্টি থেকে রাজশাহী কলেজ পর্যনত্ম যানজট হচ্ছে৷ আর এই যানজটের প্রধান কারণ হলো অত্যাধিক পরিমাণ অটোরিকশা ৷ নগরীতে এই অটোরিকশা গুলো আগের তুলনায় অনেক পরিমাণ বেড়ে গেছে৷ অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে রাজশাহীর দূর্গাপুর, পুঠিয়া, চারঘাট, মোহনপুর ও গোদাগাড়ী উপজেলা থেকে বাড়তি লাভের জন্য অটোরিকশা চালকরা তাদের যানবাহন নিয়ে শহরে আসতে শুরু করেছে৷ এতে নগরীতে বেড়েছে অটোরিকশার সংখ্যা৷
অপরদিকে, ঈদের কেনাকাটায় ব্যসত্ম হয়ে পড়েছেন সবাই৷ রাজশাহী মহানগরের বাইরে থেকেও প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ কেনাকাটা করতে শহরের আসছেন৷ এছাড়া নগরীর মানুষেও পুরোদমে কেনাকাটার জন্যে বের হয়েছেন ও হচ্ছেন৷

রাজশাহীর চারঘাট থেকে আসা অটোরিকশা চালক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার নিজস্ব গাড়িতে আমি ভাড়া মারি৷ চারঘাট বাঘার চেয়ে রাজশাহী শহরে ভাড়া বেশি পাওয়া যায়৷ আমি ভাড়া নিয়ে রাজশাহীতে আসি আবার ভাড়া নিয়েই বাড়ি যাই৷ আর এখন ঈদ বাজার করতে অনেকেই রাজশাহীতে আসে তাদেরকে নিয়ে আসি৷
আর এই বাড়তি যানবাহনের কারণে রাজশাহী নগরীতে বেড়েছে যানজট৷ তবে যানজট নিরসনে তত্‍পর রয়েছে পুলিশ৷ নগরীর যানজট নিরসনের জন্য সর্বাত্বক চেষ্টা করছেন তারা৷ রাজশাহী কলেজের সামনে অবস্থানরত সার্জেন্ট বলেন, রাজশাহীতে যানজটের প্রধান কারণ হলো অটোরিকশা৷ অটোরিকশার কারণে অন্যান্য যানবাহনগুলো এগোতে পারে না৷ আলুপট্টি থেকে যেসব যানবাহন বাজারে প্রবেশ করে তাদের বের হবার একমাত্র পথ হলো রাজশাহী কলেজ মোড়৷ তাই এখানে যেন কোনরকম কোন যানজট সৃষ্টি না হয় সেদিকে আমরা তত্‍পর রয়েছি৷

তিনি আরো বলেন, যানজট নিরসনে আমরা পর্যাপ্ত ফোসের্র ব্যবস্থা করেছি৷ রাসত্মায় যে কয়েক স্থানে পারাপারের ফাঁকা স্থানগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছি যাতে করে যানবাহন ঘুরাতে গিয়ে যানজট সৃষ্টি না হয়৷ এছাড়া কোনরকম দূর্ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকে আমরা সতর্ক আছি৷ সরেজমিন দেখা যায় নগরীর আলুপট্টি হতে যে যানবাহন গুলো বাজার কেন্দ্রীক হয় কিংবা লক্ষীপুরের দিকে যায় তাদের বের হবার একমাত্র পথ রাজশাহী কলেজ মোড়৷ তাই নগরীর জিরো পয়েন্ট থেকে মনিচত্বর পর্যনত্ম সড়কটি প্রায়ই যানবাহনে আবদ্ধ থাকে৷ সাহেব বাজারের জিরো পয়েন্টে অবস্থানরত সার্জেন্ট জানান, বাজার কেন্দ্রীক মানুষের উপস্থিতি এখন বাড়ছে৷ আর সেই সথেই বাড়ছে পরিবহনের যানবাহনগুলো৷ তবে এ যানজট নিরসনে যথেষ্ট ফোর্সের ব্যাবস্থা করেছেন তারা৷

তিনি আরো বলেন, বাজারে আসা প্রত্যেক অটোরিকশাগুলোর লাইসেন্স ঠিক আছে কিনা দেখে অতিরিক্ত অটোরিকশা চিহ্নিত করে সেগুলোর ব্যবস্থা নিচ্ছি৷ যাতে কেউ এই ভয়ে নষ্ট যানবাহন নিয়ে বাজারে না আসে৷ আমরা সময় ভাগ করে নিয়ে দায়িত্ব পালন করছি৷ সকাল নয়টা থেকে শুরু করে রাত সাড়ে এগারোটা পর্যনত্ম আমরা বিভিন্ন শিফটে ভাগ হয়ে কাজ করছি৷