দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৫ জুলাই: জাতীয় সংসদে রোববার খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল ২০১৫ পাস করা হয়েছে।কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রক্ষা, সমতা অর্জন ও জাতীয় পর্যায়ে কৃষি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে সুনির্দিষ্ট বিধানসহ খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যলয় স্থাপনের বিধান করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
বিলে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, সিন্ডিকেট ও কাউন্সিল সদস্য নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা, শিক্ষাদান, মঞ্জুরী কমিশনের দায়িত্ব, ভাইস-চ্যানেসলর, প্রো ভাইস-চ্যান্সেলরসহ কর্মকর্তা নিয়োগ এবং ক্ষমতা ও দায়িত্বসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়।বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল,অনুষদ, বিভাগ, অর্থ কমিটি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি, বাছাই কমিটি, পাঠক্রম কমিটি, ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি ও সংবিধান অনুযায়ী অন্যান্য কর্তৃপক্ষ গঠনের বিধান করা হয়।
বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের সিন্ডিকেট গঠন এর সভা, ক্ষমতা ও দায়িত্ব, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল,ট্রাস্টি বোর্ডসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়।জাতীয় পার্টির এম এ হান্নান, নুরুল ইসলাম মিলন, নুরুল ইসলাম ওমর, ফখরুল ইমাম, রওশন আরা মান্নান, মাহজাবিন মোরশেদ, স্বতন্ত্র সদস্য হাজী মো. সেলিম ও আবদুল মতিন বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।
এদিকে, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বিল ২০১৫ এর ওপর আজ সংসদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স¤পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়েছে।কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী রিপোর্টটি উপস্থাপন করেন। রিপোর্টে বিলটি সংশোধিত আকারে পাসের সুপারিশ করা হয়।রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো অধ্যাদেশ ১৯৭৭ রহিত করে পুনঃপ্রণয়নের বিধান করে গত ১৬ জুন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বিলটি উত্থাপন করেন।
বিলে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো অধ্যাদেশ ১৯৭৭ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এমনভাবে বহাল রাখার বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে, যেন তা বিলের বিধান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।বিলে ব্যুরোর প্রধান কার্যালয়, পরিচালনা ও প্রশাসন, পরিচালনা পর্ষদ গঠনসহ সংশ্লিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়।বিলে বাণিজ্যমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে ২২ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠনের প্রস্তাব করা হয়।বিলে ব্যুরোর প্রধান নির্বাহী, পরিচালনা পর্ষদের সভা, ব্যুরোর দায়িত্ব ও কার্যাবলী, তহবিল ঋণ গ্রহণ ও বিনিয়োগ, বাজেট, হিসাব ও নিরীক্ষা, বার্ষিক প্রতিবেদন, উপদেষ্টা, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ, সরকারি কর্মচারি, ক্ষমতা অর্পণ, বিধি-প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধানের প্রস্তাব করা হয়।এছাড়া সংসদে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রথম রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম রিপোর্টটি উপস্থাপন করেন।