1435984921_1991

দৈনিকবার্তা- ফেনী, ০৫ জুলাই ২০১৫: ফেনীর পরশুরামে শুভ বৈদ্য (১৮) নামে এক স্কুল ছাত্রের হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ এছাড়া ওই ছাত্রের ব্যবহৃত মুঠোফোন সেটটিও উদ্ধার করা হয়েছে৷ গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে৷ তাকে মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল৷

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- আবদুর রহিম (২), ওমর ফারুক (২২), নুরুল আলম ভঁূঞা সমীর (২০), ও মো. স্বপন ভঁূঞা (২১)৷ তারা সবাই নিহত শুভ বৈদ্যর প্রতিবেশী এবং তারা বিভিন্ন পেশায় কাজের আড়ালে অপকর্ম করে বেড়ায়৷গত ২৯ জুন রাত ৮টার দিকে পরশুরাম পৌরসভার অননত্মপুর গ্রামের সাধন চন্দ্র বৈদ্যর ছেলে শুভ বৈদ্যকে মুঠোফোনে ঘর থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে যায়৷ তারপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল৷ পরদিন রাত ১১টার দিকে বাড়ির পাশে শ্বশানের ঝোঁপের মধ্যে এক গাছের সাথে পিঠমোড়া করে হাত ও অন্য একটি গাছের সাথে পা বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ সে পরশুরাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল৷

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম চৌধুরী স্কুল ছাত্র হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার এবং ওই ছাত্রের ব্যবহৃত মুঠোফোন সেট উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন৷ তিনি জানান, প্রতিবেশী নরুল আলম ভঁূঞা সমীর নামে যে যুবক ঝোপের মধ্যে শুভর লাশটি তার বাবাকে দেখিয়ে দিয়েছিল পুলিশ গত কয়েকদিন তার গতিবিধির ওপর নজর রাখে এবং নিহত ছাত্র শুভ বৈদ্যর মুঠোফোনের কললিষ্ট দেখে হত্যাকারীদের মধ্যে প্রথমে আবদুর রহিমকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়৷ তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নুরুল আলম ভঁূঞা সমীর (২০), মো. স্বপন ভঁূঞা (২১) ও ওমর ফারুককে (২২) গ্রেপ্তার করেন৷ পুলিশের ভাষ্যমতে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবদুর রহিম পুলিশকে জানায়, শুভকে হত্যার পরিকল্পনা তাদের ছিলনা৷ অপহরনের মূল উদ্দেশ্য ছিল- তাকে জিম্মি করে কিছু টাকা পয়সা আদায় করা৷ কিন্তু সামান্য আঘাতে সে অচেতন হয়ে পড়ে৷ পরে অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশটি ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়৷