দৈনিকবার্তা-হিলি, ০৪ জুলাই ২০১৫: বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড(বিজিবি)-বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) সীমান্ত পাহারায় কড়াকড়ি থাকলেও থেমে নেই অবৈধ পথে লোক পারাপার। অবৈধ পারাপার বেড়েছে হিলি সীমান্তে দিয়ে আড়ালেই নারী ও শিশু পাচার করে দালালরা বনে যাচ্ছে কোটিপতি।হিলি সীমান্তের চিত্রটা এমনি যে, রেল লাইনটাই ভাগ করে রেখেছে এপার সীমান্ত আর ওপার সীমান্ত। দু’টি সীমান্তের হাট বাজারের নাম হিলি। ঘনবসতি এলাকা হওয়ায় এক লাফে রেল লাইনটা পার হলেই ভারত। সীমান্তে বসবাসকারীদের সাথে রয়েছে দালালদের সখ্যাতা। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীÑশিশু-পুরুষ এনে সীমান্তের দালালদের পছন্দমত বাড়িতে রাখা হয়। পরে সুযোগ বুঝে উভয় সীমান্তের সব কিছু ম্যানেজ করে পার করে দেয়া হয় সীমান্তের ওপারে।এসব অবৈধ পথে পারাপার দু’দেশের নাগরিকদের বিভিন্ন সময়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত নেয়া-দেয়া হয়েছে। এ সবে লাভ হয়েছে দু’দেশের দালালদের।
হিলি সিপি চেকপোষ্ট এলাকার আদম দালাল সোলায়মান মুন্সি, হজরত আলী , ও মন্ডল বিহারী গং ভারতে অবৈধ লোক পারাপারের পাশাপাশি নারী ও শিশৃু পাচার করে রাতারাতি তারা তাদের ভাগ্য বদলে ফেলেছে। তাদের ব্যাপারে উপজেলা আইন শৃংখলা মিটিংএ একাধিকবার আলোচনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও আজও বাস্তবায়ন হয়নি। সরকার লোক পাচারকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বললেও এখানকার বিজিবি ও আইনর্শৃংখলা বাহিনী রয়েছে নিরব। মাঝে মাঝে বিজিবি কিংবা ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীর হাতে ধরা পড়লেই তারা একটু সচেতনতার ভাব দেখায়। এই আদম পারপারকারী চক্র এতই শক্তিশালি হওয়ায় সাধারন জনগন ভয়ে নিরব ভুমিকা পালন করে থাকেন। এদেরকে হিলি আইসিপি গেটে ও সীমান্তএলাকায় বিজিবির সাথে প্রকাশ্য ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। কেউ কিছু বললেই বিজিবি বলে ফেলেন তারা তাদের সোর্স। এই সোর্সের আড়ালেই তারা অর্থের বিনিময়ে নারী- শিশু পাচার ও পারাপার করে অঢাল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। এরা আদম লাইনম্যান হিসাবে সীমান্ত এলাকায় নিজেদের বীর দর্পে পরিচয় দিয়ে থাকেন।
গরু পারাপারকে কেন্দ্র করে বিএসএফ এর গুলিবর্ষনের কারনে সীমান্ত এলাকায় লোকপারাপার কড়াকড়ি আরোপ করা হলেও হিলির কামালগেট, চেকপোষ্ট, রেল ষ্টেশন, বড়মাঠ ও ডাব বাগান এলাকায় চলছে রাতে চোরাচালান। পাশাপাশি আদম পারাপারও হচ্ছে। এই আদম পারাপারের টাকা প্রতিটি সেন্টরে ভাগ করে দিয়ে থাকেন কথিত ওই লাইনম্যানরা। এলাকাবাসী অগাধ সম্পদের মালিক লাইনম্যানদের অবিলম্বে আটকসহ তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেন।এলাকাবাসী আরও বলেন, এই দালাল চক্র বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক সংগ্রহ করে হিলি সীমান্ত এলাকায় এনে জড়ো করে এবং সময় সুযোগ মত ভারতে পাঠিয়ে দিয়ে থাকেন। এদের আটক করা হলেই হিলি সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে লোক পারাপার বন্ধ হবে।