দৈনিকবার্তা-কুষ্টিয়া, ০৪ জুলাই ২০১৫: ব্রাজিল থেকে আনা খাওয়ার অযোগ্য গম গুদামজাতে বাধা দিয়েছেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সরকার দলীয় এমপি আব্দুর রউফ।কুমারখালী- খোকসা আসনের এই এমপি সরকারী ওই গম প্রতিহত করার ঘোষণাও দেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও গম বহনকারী ট্রাকের চালকরা জানান, খুলনা বিভাগীয় খাদ্য গুদাম থেকে ৫০০ টন গম কুমারখালীতে আনা হয়েছে। শনিবার সকালে ট্রাক থেকে গম নামানোর প্রস্তুতি শুরু হয়। গম নি¤œমানের ও খাবার অনুপযোগী এমন অভিযোগে সরকার দলীয় এমপি আব্দুর রউফ গুদামজাত করার পূর্ব মুহুর্তে তা আটকে দেন।এসময় নি¤œমানের গম নেয়ার কারণে স্থানীয় জনগণও খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাদের উপর উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরে গম গুদামজাত বন্ধ হয়ে যায়।এমপি আব্দুর রউফ বলেন, এই গম অতি নি¤œমানের হওয়ায় তা কুমারখালী খাদ্য গুদামে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এই গম ফেরত পাঠানো হবে। পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া আর যায় হোক অন্তত কুমারখালী খাদ্য গুদামে এই গম ঢুকতে দেয়া হবে না। এটি খাওয়ার অযোগ্য।
এব্যাপারে কুমারখালী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাবুল আলম বলেন, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী এই গম গুদামে ঢোকাতে হবে। এমপির বাধার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবো, তাদের নির্দেশনা মতে কাজ করা হবে। অপরদিকে, কুমারখালী ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজী হননি।শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমারখালী উপজেলা খাদ্য গুদামে ১৪টি ট্রাকে ওই গম এলে স্থানীয়দের নিয়ে তা আটকে দেন কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে সরকারদলীয় এই সংসদ সদস্য।এই গম নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে; যদিও খাদ্যমন্ত্রীর দাবি, এই গম খাওয়ার উপযোগী।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা বিভাগীয় খাদ্য গুদাম থেকে আসা ১৪ ট্রাক গম কুমারখালী খাদ্য গুদামে সকালে নামানোর প্রস্তুতি শুরু হয়। এমপির নেতৃত্বে জনতার প্রতিরোধে গম গুদামজাত করা বন্ধ হয়ে যায়।
কুমারখালীর আওয়ামী লীগ নেতা রউফ বলেন, আমার চোখের দেখায় এই গম অতি নিম্নমানের হওয়ায় তা খাদ্য গুদামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া আর যাই হোক, অন্তত কুমারখালী খাদ্য গুদামে এই গম ঢুকতে দেওয়া হবে না।এ বিষয়ে কুমারখালী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাবুল আলম বলেন, দেশি গম স্থানীয়ভাবে মান যাচাই করে কেনা হলেও বিদেশ থেকে আমদানি করা গম কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা করেই আসে।ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ১৪ ট্রাক গম বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে খাদ্য গুদামে আনা হয়েছে। সরকারিভাবে নিয়মমাফিক আসা এই গমকে আমার খাদ্য গুদামে ঢোকাতে হবে।সংসদ সদস্যের বাধার বিষয়ে তিনি শাহাবুল বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের নির্দেশনা মতে কাজ করা হবে।এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি।ব্রাজিল থেকে আমদানি করা দুই লাখ টন গম নষ্ট ও পচা বলে অভিযোগ ওঠার পর এনিয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদনও হয়েছে।আমদানি করা এসব গম মানুষের খাওয়ার উপযোগী কি না, তা জানাতে সরকারকে আদেশ দিয়েছে আদালত।