দৈনিকবার্তা-পাবনা, ০৩ জুলাই ২০১৫: অর্থ না থাকায় বেতন বাবদ চিনি দেয়া হচ্ছে পাবনা সুগার মিলে৷ মিলের গুদামে ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি অবিক্রিত পড়ে থাকায় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধে এ অভিনব সিদ্ধানত্ম নিয়েছে মিল প্রশাসন৷ এমন সিদ্ধানত্মে অসনত্মোষের সৃষ্টি সুগার মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের মাঝে৷পাবনা সুগার মিল সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রয়েছে৷ তিন মাসের বেতন বাবদ বকেয়া পড়েছে প্রায় ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা৷ অন্যদিকে মিলের গুদামে পড়ে আছে ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি যার মূল্য ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা৷ নগদ অর্থ না থাকায় অবিক্রিত চিনি দিয়ে বকেয়া বেতনের সমন্বয় করা হচ্ছে৷এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বেতন বকেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, যে সব শ্রমিক-কর্মচারী চিনি নিতে চাচ্ছেন শুধু তাদেরকেই টাকার বদলে বেতন বাবদ চিনি দেয়া হচ্ছে৷ কাউকে বাধ্য করা হচ্ছে না বলে তিনি দাবী করেন৷
এদিকে অর্থের প্রয়োজনে চিনি নিয়ে মিলগেটেই দালালদের কাছে বিক্রি করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন শ্রমিকরা৷পাবনা সুগারমিলের কর্মচারী এবং শ্রমিকনেতা আশরাফুজ্জামান উজ্জল বলেন, মিল থেকে চিনি নিয়ে বিক্রি করতে গেলে বসত্মা প্রতি দেড় থেকে দু’শ টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে৷ তিনমাস বেতন না পাওয়ায় অনেক টাকা দেনা হয়ে গেছে৷ এখন বেতনের বদলে চিনি দেয়ায় আমরা মহাবিপদে পড়েছি৷খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিলগেটে খোলা চিনি প্রতি কেজি ৩৭ টাকা ও প্যাকেট চিনি ৪২ টাকা দরে বিক্রির জন্য নির্ধারিত রয়েছে৷ কিন্তু চিনি বিক্রি হচ্ছে না৷ বাজারে আমদানিকৃত দেশি চিনির চেয়ে সাদা হওয়ায় মিষ্টি ব্যবসায়ীরা আমদানি করা চিনি ক্রয় করে থাকে৷ দেশি চিনি গুণে ও মানে উন্নত হওয়া সত্ত্বেও শুধু রং একটু লাল হওয়ায় তা বিক্রি হচ্ছে না৷এ অবস্থায় মিলের শ্রমিকরা চিনি নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সময়মতো বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন৷