Assaduzzaman

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২জুলাই: যারা ব্যাংক লুটপাটের সঙ্গে জড়িত তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করার জন্য ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন৷বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আল্টিমেটাম দেন৷অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বুধবার দেওয়া এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ আল্টিমেটাম দেন বলেও জানান আসাদুজ্জামান রিপন৷ রিপন বলেন, আমরা জানি অর্থমন্ত্রী একজন যোগ্য ব্যক্তি, উনার মাঝে দেশপ্রেম রয়েছে৷ এ কারণেই তিনি দুষ্টু লোকদের তালিকা প্রকাশ করবেন৷ যাদের কারণে দেশের ব্যাংকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিগগিরই তাদের নাম প্রকাশ হওয়া উপচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ উল্লেখ করা হয়েছে এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটা জনগণের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফল৷ এখানে সরকারের কোনো অবদান নেই৷ বরং সরকারের লোকেরা যদি লুটপাট না করতো তাহলে দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতো৷

বাংলাদেশকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের দেওয়া বার্ষিক প্রতিবেদন বিষয়ে বিএনপির মতামত জানতে চাইলে রিপন বলেন, এতে সরকারের কোনো অবদান নেই৷ জনগণের একান্ত প্রচেষ্টায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে৷ বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার লুটপাট না করলে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আবির্ভুত হতে পারতো বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷তিনি বলেন, ভোটারবিহীন এই সরকারের আমলে অর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপকভাবে লুটপাট হচ্ছে৷ এটা আমরা আগেও বলেছি৷ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একজন সজ্জন মানুষ, তার ভাষায় দুষ্টু লোকেরা রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক থেকে অর্থ লোপাটের সঙ্গে জড়িত৷ অর্থমন্ত্রীর এ বক্তব্যে বিএনপির দাবির প্রতিফলন হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি৷বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমরা জানতে চাই, ওই সমস্ত দুষ্টু লোক কারা৷ যাদের সঙ্গে আপনি পারছেন না৷ পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতেন৷ এখন মুখ যেহেতু খুলেছেন, ভালো করে মুখ খুলুন৷ আপনার বয়স হয়েছে, দেশের পক্ষে দেশের অর্থনীতির পক্ষে কথা বলুন৷

বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা করে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘ব্যাংকে যে টাকা জমা হয় তা জনগণের টাকা৷ বিএনপি জনগণের পক্ষে কথা বলে৷ ৫৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপী বেড়েছে৷ এর মধ্যে ৩৫ কোটি রাইট অব (অবলোপনকৃত) করা হয়েছে৷ যা সরকার প্রকাশ করেনি৷ যে পরিমান টাকা ঋণ খেলাপী হয়েছে, তা দিয়ে তিনটি পদ্মা সেতু করা সম্ভব হতো বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷বিএনপির সহিংস রাজনীতি সমর্থন করে না উল্লেখ করেন তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রী তিন মাসের আন্দোলনের নেতিবাচক বিষয় বারবার তুলে ধরতে চায়, বিএনপি জ্বালাও পোড়াও করে না৷ আমরা গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যেতে চাই৷ আওয়ামী লীগ যদি গত ছয় বছরের লুটপাট বন্ধ করত, তাহলে জিডিপির হার এখন ৮ শতাংশ হয়ে যেত বলেও যোগ করেন তিনি৷সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, ত্রাণ ও পূর্ণবাসন বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান রুমী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহিন উপস্থিত ছিলেন৷