Gournadi Photo- 02-07-15 (1)দৈনিকবার্তা-গৌরনদী (বরিশাল), ২ জুলাই: বেকারত্বের অভিশাপ প্রত্যেক মানুষকে চরমভাবে বিষন্ন করে তুলে৷ আমাদের দেশে দরিদ্র, হতদরিদ্র ও মধ্যেবিত্ত পরিবারের যুবক-যুবতিদের বেকারত্বের বোঝা বহন করতে হয় সর্বাধিক৷ অনেকেই আবার নিজ উদ্দ্যেগ, পরিশ্রম, অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে বেকারত্বেকে পিছনে ফেলে পেয়েছে স্ববলম্বি জীবন৷ এমনই এক শিৰিত বেকার যুবক বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলা সদর সংলগ্ন বুধার গ্রামের দ্বিজেন্দ্র নাথ সরকারের ছেলে সৈকত সরকার৷ মধ্যবিত্ত পরিবারের এই যুবক ২০০০ সালে এস.এস.সি ও ২০০২ সালে এইচ.এস.সি পাশ করে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী নিয়ে অল্প দিনের ব্যবধানে তার মাথায় চেপে বসে নিজ উদ্দ্যোগে কাজ করা ও কর্মসংস্থান তৈরীর৷ চাকুরীতে বছর খানেক না ঘুরতেই বাড়ি এসে পৈত্রিক প্রাপ্ত একটি পুকুরে মাছ চাষ শুরম্ন করে৷ বছর ঘুরে মাছ চাষে কিছুটা সফলতা আসায় সৈকত ফি বছর তিনটি ঘের পুকুরে তেলাপিয়া, রম্নই, কাতলসহ হাইব্রিড জাতের বিভিন্ন প্রজাতির মাছে চাষের সাথে হাঁস, মুরগী ও গবদী পশু পালন শুরম্ন করে৷ পর্যায়ক্রমে ২-৩ বছরের ব্যবধানে সৈকতের সাফল্যর ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে৷ এরপর “সৈকত এ্যাগ্র্যে ফার্ম” প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে বানিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ, হাঁস, মুরগী গবাদী পশু পালনের সাথে পুকুর পারে কলা, পেয়ারা, আম, কুল, আমরা সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পায়৷ বর্তমানে সৈকতের বিভিন্ন প্রকল্প ১২ জন বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে৷ সৈকতের ঘের পুকুরের উত্‍পাদিত তেয়াপিয়া সহ বিভিন্ন মাছের পোনার চাহিদা এখন এলাকা ছাড়িয়ে গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বাগেরহাটসহ বহুদুরে৷ প্রতিদিনেই অন্য উপজেলা ও জেলা থেকে সৈকতের কাছ থেকে উন্নত জাতের পোনা মাছ ক্রয় করতে আসা ক্রেতাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ সৈকতের সাফাল্যর স্বকৃতিতে ২০১৩ সালে সাংসদ তালুকদার মোঃ ইউনুস পুরুস্কার প্রদান করেন৷ এছাড়া বিভাগের শ্রেষ্ঠ মত্‍স্য চাষীর পুরুস্কার গ্রহণসহ পেয়েছে উপজেলা পর্যায়ে একাধিক পুরুস্কার৷ সৈকতের ইচ্ছে সরকার থেকে সহজ শর্তে আর্থিক সহায়তা পাওয়া গেলে তার প্রকল্পের আওতা বাড়িয়ে বেকারদের আরও বেশী করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা৷