1435557669_felani

দৈনিকবার্তা-কুড়িগ্রাম, ১ জুলাই: ভারতের কোচবিহারে বিএসএফর বিশেষ আদালতে ৩ মাস ৫ দিন পর আবার ও দ্বিতীয় দিনের মত ফেলানী হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বুধবার ও দ্বিতীয় দিনের মত বিএসএফর বিশেষ আদালতের সোনারী ছাউনীতে বিএসএফর আধিকারী সিপি ত্রিবেদীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বিচারিক প্যানেল বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে বিশেষ সূত্রে জানা যায়। এর আগে ৪ মাস মুলতবি থাকার পর গত ২৫ মার্চ পুনঃ বিচার কাজ শুরু হলে ও বিএসএফর সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অসুস্থ থাকায় ৩০ জুন পর্যন্ত পুনঃ বিচারিক কার্যক্রম মূলতবি করা হয়।

কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিউকিউটর ও ফেলানী হত্যা মামলার আইন সহায়তাকারী এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গত ২৫ মার্চ বিএসএফর আধিকারী সিপি ত্রিবেদীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বিচারিক প্যানেল বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু বিএসএফর বিশেষ আদালতের সহকারী প্রসিকিউটর অসুস্থ্য থাকায় বিচারিক কাজ সে দিনের জন্য মূলতবি ঘোষনা করা হয়। ২৬ মার্চ পুনরায় আদালত বসলে ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অনুপস্থিত থাকায় গত ৩০ জুন পুনঃ বিচারিক কার্যক্রম শুরুর তারিখ নির্ধারন করে বিএসএফর বিশেষ আদালত।

উলে¬খ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয় বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী খাতুন। এ হত্যাকান্ডে দেশ-বিদেশের গণ মাধ্যম সহ মনবাধিকার কর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝর উঠলে ২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট বিএসএফর বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় ভারতের কোচবিহারের বিএসএফর বিশেষ আদালত। পরে বিজিবি-বিএসএফর দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে ফেলানী হত্যার পুনঃ বিচারের সীদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনঃ বিচার শুরু করে বিএসএফ।