khaleda_287341

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১জুলাই ২০১৫: সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, কোথায় যাবেন ? পালানোর জন্য জায়গা ঠিক করে রাখুন৷ জনগণ আজ জেগে উঠেছে৷ সাবধান হওয়ার এখনই সময়৷ তিনি বলেন, সরকার অপকর্ম করছে আর তার দায়ভার চাপাচ্ছে বিএনপির উপর৷বুধবার বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির রাজদর্শন হলে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির এলডিপি) রাজনৈতিক ও পেশাজীবীদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন৷তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ২০ দলের পেছনে লেগেই আছে৷ অপরাধ করছে তাদের দলের লোক আর মামলা দেয়া হচ্ছে ২০ দলের নেতাকর্মীদের নামে৷ আবার তারা জামিনে মুক্ত হলেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে যা অত্যন্ত নিন্দনীয়৷তিনি আরো বলেন, সরকারি দলের লোক প্রকাশ্যে খুন করলেও তাদের ছেড়ে দেয়া হয়৷ পচা গম আমদানি করে সাধারণ মানুষদের তা আটা বানিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে৷বিএনপি চেয়ারপারসন সরকারের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, মহানবী (স.) ও হজ নিয়ে কটূক্তিকারীকে সরকার জামিনে মুক্ত করে দিয়েছে৷

ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারকে অপদার্থ আখ্যায়িত করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, জনগণকে সজাগ হতে হবে৷ যারা দেশকে ভালবাসে, পরিবারকে ভালবাসে, মুক্তিযুদ্ধকে সম্মান করে তাদের জেগে উঠতে হবে৷ অন্যায়, জুলুম, অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে৷ তবেই দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও গণতন্ত্র ফিরে আসবে৷খালেদা জিয়া বলেন, জাতিকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে আওয়ামী লীগকে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে৷ এখন তাদের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রাখারও চেষ্টা করা হচ্ছে৷

তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন কথা বলে যাচ্ছি, কিন্তু তাদের কোনো গায়ে লাগছে না৷ জাতীয় সংসদে কোনো আলোচনা হয় না৷ সংসদে কোনো এজেন্ডা থাকে না৷ এটা গান-বাজনার আসর হয়ে গেছে৷ সংসদে বিরোধীদল বলে কিছু নেই৷ সেখানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতও হয় না৷এই অবস্থা থেকে উত্তোরণের পথ হিসেবে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো নির্বাচন করা এবং সেই নির্বাচনে সকল দলের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করা৷ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া, যাতে কোনো কারচুপি না হয়৷ তবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়৷ সারা বিশ্ব এই নির্বাচন কমিশনকে অথর্ব বলে আখ্যা দিয়েছে৷খালেদা জিয়া বলেন, প্রশাসনে আজকে ভালো ভালো কর্মকর্তাদের ডিঙিয়ে দলীয় লোকদের পদন্নোতি দেয়া হচ্ছে৷ পুলিশ প্রশাসনেও একই অবস্থা৷ পুলিশ প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলার ধার ধারে না৷ দেশে মানবাধিকার বলে কিছু নেই৷ কেউ সরকারের সমালোচনা করতে পারে না৷ সমালোচনা করলেই তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে৷ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাষ্ট্রের আইন মানছে না৷ তারা নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে৷ সীমান্ত অরক্ষিত রেখে জনগণের টাকায় কেনা গুলি দিয়ে দেশের মানুষ হত্যা করছে সরকার৷

সীমান্তে প্রতিনিয়ত মানুষ খুন হচ্ছে- এমন অভিযোগ করে খালেদা বলেন, সরকার অপদার্থ, অবৈধ তাই তারা কোনো প্রতিবাদতো করবেই না, অন্যকেও প্রতিবাদ করতে দিচ্ছে না৷সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বলে আজ আর কিছু নেই৷ সেখানে তাদের কোনো অবস্থান আছে কিনা বলা মুশকিল৷ তারা শুধু জনগণের ট্যাঙ্রে টাকায় কেনা গুলি জনগণের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করছে৷খালেদা জিয়া আরো বলেন, আজকে মিয়ানমারের সঙ্গেই আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পারে না৷ অথচ আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কত চৌকষ ছিল, আপনার তা জানেন৷ আজকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ধরে নিয়ে মিয়ানমার অসম্মান করে৷দেশের সম্মান আর কোথায় রইলো? জনরোষে আওয়ামী নেতারা পালাবার পথ খুঁজে পাবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, কোথায় যাবেন? পালানোর জন্য জায়গা ঠিক করে রাখুন৷ জনগণ আজ জেগে উঠেছে৷ সাবধান হওয়ার এখনই সময়৷

খালেদা জিয়া বলেন, আল্লাহ এই জালিম অত্যাচারী সরকারকে পরীক্ষা করছে তারা আর কতো দুর্নীতি করতে পারে, আর কতো খারাপ কাজ করতে পারে, আর কতো মিথ্যা কথা বলেতে পারে৷ তিনি বলেন, জনগণ যখন দড়ি ধরে টান দেবে সরকার তখন খান খান হয়ে যাবে৷বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে সরকারের পরিণতি হবে হীরক রাজার কাহিনীর মতো৷ তিনি বলেন, ধর্মকে কটূক্তি করার অপরাধে এ সরকারের সাবেক মন্ত্রী কারাগার থেকে জামিন পেয়ে লুকিয়ে আছে৷ এ সরকারের সবার পরিণতি একই হবে, জনগণ সবাইকে খুঁজে বের করবে৷খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান সরকার ২০ দলের পেছনে লেগেই আছে৷ অপরাধ করছে তাদের দলের লোক আর মামলা দেয়া হচ্ছে ২০ দলের নেতাকর্মীদের নামে৷ আবার তারা জামিনে মুক্ত হলেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে যা অত্যন্ত নিন্দনীয়৷ তিনি বলেন, সরকারি দলের লোক প্রকাশ্যে খুন করলেও তাদের ছেড়ে দেয়া হয়৷ পচা গম আমদানি করে সাধারণ মানুষদের তা আটা বানিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে৷ বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির রাজদর্শন হলে ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন এলডিপির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল অলি আহমদ৷ এসময় বিএনপির শীর্ষ পযর্ায়ের নেতৃবৃন্দসহ ২০ দলের নেতাকমর্ীরা উপস্থিত ছিলেন৷