48092_000

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১ জুলাই: জনরোষে আওয়ামী নেতারা পালাবার পথ খুঁজে পাবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, কোথায় যাবেন? পালানোর জন্য জায়গা ঠিক করে রাখুন। জনগণ আজ জেগে উঠেছে, যখন দড়ি ধরে টান দেবে সরকার তখন খান খান হয়ে যাবে। সাবধান হওয়ার এখনই সময়। বুধবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) রাজনৈতিক ও পেশাজীবীদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

1435759274বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির রাজদর্শন হলে ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন এলডিপির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল অলি আহমদ। খালেদা জিয়া বলেন, আল্লাহ এই জালিম অত্যাচারী সরকারকে পরীক্ষা করছে তারা আর কতো দুর্নীতি করতে পারে, আর কতো খারাপ কাজ করতে পারে, আর কতো মিথ্যা কথা বলেতে পারে। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে সরকারের পরিণতি হবে হীরক রাজার কাহিনীর মতো।

তিনি বলেন, ধর্মকে কটূক্তি করার অপরাধে এ সরকারের সাবেক মন্ত্রী কারাগার থেকে জামিন পেয়ে লুকিয়ে আছে। এ সরকারের সবার পরিণতি একই হবে, জনগণ সবাইকে খুঁজে বের করবে। খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান সরকার ২০ দলের পেছনে লেগেই আছে।  সারাদেশে ক্ষমতাসীনদের দখলদারি ও চাঁদাবাজীর প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘‘ তারা (ক্ষমতাসীন) দখলবাজী-দুর্নীতি করছে। অপরাধ করছে তাদের দলের লোক আর মামলা দেয়া হচ্ছে ২০ দলের নেতাকর্মীদের নামে। তাদের জেলে নেয়া হচ্ছে। জামিন দেয়া হয় না।

1435761269যদি জামিন পায়, আবার জেল গেইট থেকে ধরে নিযে যাওয়া হয়।’’ যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আর সরকারি দলের লোক প্রকাশ্যে খুন করলেও তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পঁচা গমে আমদানি কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন,‘‘ গ্রামের অবস্থা খুবই খারাপ। এখন বন্যা ও নদীভাঙ্গন নানা সমস্যায় জর্জরিত। রিলিফ দিচ্ছে না। এখন শুনা যাচ্ছে, ব্রাজিল থেকে আনা পঁচা ওই গম আটা বানিয়ে কাবিখ-টেষ্ট রিলিফ কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে। সাধারণ মানুষ ওই পঁচা গম খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়েছে ধুকে ধুকে মরবে।’’‘‘ অর্থাৎ এই সরকার চুরি করছে, দুর্নীতি করছে, পঁচা গম, পচা জিনিস সাধারণ মানুষকে খাওয়াচ্ছে।’’

পুলিশের একচোখা ভুমিকারও সমালোচনা করেন সাবেক প্রধান মন্ত্রী।‘‘ পুলিশ হচ্ছে জনগনের সেবক। অথচ তারা ২০ দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে অত্যাচার করছ, তা দুঃখজনক। কিছু কিছু পুলিশ আছে যারা অতি উৎসাহী হয়ে্ এসব কাজ করছে। এটা তাদের জন্য ভালো হচ্ছে না।’’ভবিষ্যতে এজন্য ‘সমস্যায়’ পড়তে হবে বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি। খালেদা জিয়ার সঙ্গে এক টেবিলে এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ ছাড়াও ছিলেন জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার,  জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিশের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইসহাক,  কল্যান পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, এনডিপির খন্দকার গোলাম মূর্তজা, এনপিপি‘র ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি,  ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, বিজেপির সালাহউদ্দিন মতিন প্রকাশ, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামা ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, ডিএল‘র সাইফুদ্দিন মনি, আবু তাহের চৌধুরী, এলডিপি‘র রেদোয়ান আহমেদ ও সাহাদাত হোসেন সেলিম।

14357592470বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, রুহুল আলম চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, আসাদুজ্জামান রিপন, নাজিম উদ্দিন আলম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শাহজাহান মিলন, জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, শ্যামা ওবায়েদ। ২০ দলীয় জোটের রিদওয়ান উল্লাহ শাহিদী, খন্দকার লুৎফর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, সৈয়দ মাহবুব হোসেন, এমএম আমিনুর রহমান, মঞ্জুর হোসেন ঈসা, শাহ আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহও ছিলেন ইফতার অনুষ্ঠানে। শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, মামুন আহমেদ, কলামিস্ট সাদেক খান, মাহবুবউল্লাহ, কাজী সিরাজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার প্রমূখ ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।