দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০১ জুলাই ২০১৫: গণমাধ্যমকে সরকার কখনোই নিয়ন্ত্রণ করতে চায় না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷বাংলাদেশ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,বাংলাদেশের সম্মানে আঘাত করে কেউ কিছু বললে কারো সহ্য হলেও আমার সহ্য হয় না৷
বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত ইফতারে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন৷প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই দেশের সংবাদমাধ্যম আরও শক্তিশালী হোক৷ নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না৷ কোনো কিছু করতে গেলে নীতিমালা প্রয়োজন৷ শৃঙ্খলার জন্যই নীতিমালা৷ আমি চাই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে দেশের সব সংবাদমাধ্যম৷এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্রেসক্লাবকে আন্তর্জাতিক মানের প্রেসক্লাব করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন৷ তিনি জানান, এ জন্য যত রকম সহযোগিতা প্রয়োজন তিনি দেবেন৷সাংবাদিকরা দাবি করেন তাদের আবাসন সুবিধা এবং কল্যাণ ট্রাস্টে অর্থ বাড়ানোর বিষয়ে৷ এর প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা বলেন, আমার কাছে দাবি করার প্রয়োজন হয় না৷ কল্যাণ ট্রাস্টের চিন্তা করতে হয়নি, আমি নিজস্ব চিন্তা থেকেই করে দিয়েছি৷ আওয়ামী লীগ সব সময় সাংবাদিকদের কথা চিন্তা করে, আর সাংবাদিকরা বেশি করে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে৷ অবশ্য সমালোচনা ভালো এটা আমাদের দৃষ্টিকে প্রসারিত করে৷
এ সময় দেশের উন্নয়নে সরকারের কথা তলে ধরে তিনি বলেন, স্বাধীনতার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করাই এ সরকারের লক্ষ্য৷ মূল লক্ষ্য বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা৷ আমরা যখনই ক্ষমতায় এসেছি তখনই আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি করা হয়েছে৷ আমরা দারিদ্র্য কমিয়ে ২২ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছি৷ অতি দারিদ্র্য মানুষের হার ৭ দশমিক ৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছি৷ শেখ হাসিনা বলেন, ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আমরা চলতে চাই না৷ বাংলাদেশের সম্মানে আঘাত করে কেউ কিছু বললে আমার সহ্য হয় না৷ দেশে মানুষ হত্যার রাজনীতি যারা করতে চায়, তাদের আর এসব করতে দেওয়া যাবে না৷ মানুষ পুড়িয়ে কেউ কোনো দিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না৷ইফতারের বেশ খানিকক্ষণ আগেই তিনি সেখানে উপস্থিত হন এবং সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন৷ এ সময় উপস্থিত অতিথিদের সঙ্গে কথা হয় প্রধানমন্ত্রীর৷ তারাও শেখ হাসিনাকে কাছে পেয়ে আলাপে মেতে ওঠেন৷ ইফতারের আগে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া- মোনাজাত করা হয়৷এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য,প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা,বিরোধীদলীয় নেতারা, কূটনীতিক, সংসদ সদস্য, সাংবাদিক নেতারাসহ ঊধর্্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা৷