patuakhali.thumbnail

দৈনিকবার্তা-কলাপাড়া, ১ জুলাই: টানা ভারী বর্ষন আর জোয়ারের পানির প্রবল চাপে দৌলতপুর স্লুইসসহ বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এখন জোয়ারের সময় প্রবলবেগে বেড়িবাঁধের ভেতরে পানিতে সব তলিয়ে যায়। ভাঙা অংশ দিয়ে তীব্র ¯্রােত বইতে থাকায় বাঁধের ভাঙা অংশের পরিধি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফলে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ দৌলতপুর, পূর্ব দৌলতপুর, খলিলপুর, আমিরাবাদ, মোহনপুর, তাহেরপুর, মোহাম্মদপুর, মোস্তফাপুর ও গৈয়াতলা গ্রামের চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। এসব কৃষকের আমন আবাদ চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। এমনকি জোয়ারের পানি এখন বসতবাড়িতেও হানা দিচ্ছে। আবাদ করা বোনা আউশ পচে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নয়টি গ্রামে এমন সর্বনাশের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানির চাপে ভেতরের রাস্তাঘাট পর্যন্ত ডুবে যাচ্ছে। আমন আবাদের মৌসুমে স্লুইসসহ বাঁধ বিধ্বস্তের ফলে বীজতলা করতে পারছেনা কৃষক।

কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন ৪৭/৪ নং পোল্ডারের দৌলতপুর-গৈয়াতলা বেড়িবাঁধসহ স্লুইসটি চারদিন আগে এভাবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, রাতের বেলা বিকট শব্দের পরে সব যেন পানিতে ডুবতে থাকে। এখন ভাঙ্গা অংশ ক্রমশ বেড়ে নদীর সঙ্গে মিশে গেছে। প্রতি ২৪ ঘন্টায় দুই দফা জোয়ারের পানি হানা দেয় গ্রামগুলোতে। বর্তমানে চাষাবাদ ছাড়াও গৃহস্থালী কাজে অন্তহীন দুর্ভোগ নেমে এসেছে।

ঝুঁকি বাড়ছে পানিবাহিত রোগের। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিষয়টি আগে থেকেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনকে অবহিত করেছেন। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নিলে তাদের এমন সর্বনাশ হতো না। পাউবো কলাপাড়াস্থ নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, বিধ্বস্ত স্লুইসসহ বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নিতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।