দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩০ জুন ২০১৫: চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন উদ্ধারের মামলায় খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফরিদ আলম এ আদেশ দেন।এর আগে সোমবার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোহেলকে কোকেন চোরাচালান মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয় একই আদালত।এ প্রসঙ্গে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান বলেন, ‘বন্দরে কোকেন চোরাচালান মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ মোস্তফাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে ৫ দিনই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোহেলসহ দুই জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯-এর ১(খ) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। অপর আসামি খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ। তিনি পলাতক রয়েছেন।এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরে আটক সানফ্লাওয়ার তেলের চালানের একটি ড্রামে কোকেন পাওয়ার ঘটনায় রাজধানী থেকে দুই জনকে আটকের কথা স্বীকার করে শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগ। শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক উম্মে নাহিদা আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।সোমবার রাতে তাদের আটক করা হয়— তবে প্রাথমিকভাবে আটকদের পরিচয় জানা যায়নি। রাতেই অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হোসাইন আহমেদকে প্রধান করে চার সদস্যের এ কমিটিও গঠন করা হয়।এরপর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও তার কর্মচারী সোহেলকে আসামি করে রোববার চট্টগ্রামের বন্দর থানায় মামলা করেন ওই থানার এসআই ওসমান গণি।এছাড়া ঘটনা তদন্তে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়েছে।উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরে গত ৬ জুন রাতে কোকেন সন্দেহে একটি কনটেইনার সিলগালা করে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। ৮ জুন এটি খুলে ১০৭টি ড্রামের প্রতিটিতে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল পাওয়া যায়। তেলের নমুনা প্রাথমিক পরীক্ষা করে কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া না গেলে উন্নত ল্যাবে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরে ২৭ জুন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর জানায়, রাসায়নিক পরীক্ষায় একটি ড্রামে তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।