দৈনিকবার্তা-বগুড়া, ২৯ জুন: বগুড়ায় প্রতিরোধের মুখে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার দুপুরে বগুড়া শহরের খান মার্কেটের ২য় তলায় অভিযান পরিচালনাকালে ওষুধ ব্যবসায়িদের রোষানলে পড়ে ভ্রাম্যমান আদালত ফিরে যায়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চলাকালে ওষুধ ব্যবসায়িকে মারপিটের অভিযোগ এনে কেমিষ্টস এন্ড ড্রাগিষ্টস সমিতি বগুড়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল শেষে ৩ ঘন্টা দোকান বন্ধ করে কর্মবিরতী পালন করেছে।
সোমবার বগুড়া শহরের খান মার্কেটের ২য় তলায় ওষুদের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে। বগুড়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান রুমি’র উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। এসময় আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিরিন আখতার জাহান সহ পুলিশ সদস্য, আমর্ড পুলিশ ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক ওষুধের দোকানে তল্লাশির খবরে রাজু ফার্মেসী নামের ওষুধের দোকান বন্ধ করার চেষ্টা করে এবং অবৈধ ওয়ুধ এর ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের সঙ্গে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে দোকান বন্ধ করতে নিষেধ করে। পরে দোকান মালিক জোর করে দোকান বন্ধ করতে গেলে কথাকাটাকাটি হয় এবং এসময় কয়েকজন দোকান মালিক হৈ চৈ শুরু করে দেয়। এনিয়ে ওষুধ ব্যবসায়িরা প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠলে ভ্রাম্যমান আদালত সেখান থেকে স্থান ত্যাগ করে চলে যান। চলে যাওয়ার পরে ওষুধ ব্যবসায়িরা দোকান বন্ধ করে দিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল টি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সমিতির আওতাভুক্ত দোকান ৩ ঘন্টা বন্ধ করে রাখে।
কেমিষ্টস্ এন্ড ড্রাগিষ্টস্ সমিতি বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাক জানান, ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালে রাজু দোকান বন্ধ করতে গেলে আদালতের সাথে থাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মারপিট করে। মারপিটে সে আহত হয়, এসময় খায়রুল ও রাকিবকেও মারপিট করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতের এঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে এবং ৩ ঘন্টা দোকান বন্ধ রাখা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও বগুড়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান রুমি বলেন অভিযান পরিচালনা করতে গেলে ব্যবসায়ীরা ওষুধের ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় পুলিশের সাথে তাদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। কোন প্রকার মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। তারা সমস্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে অভিযানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে অভিযান পরিচালনা পরিত্যাক্ত করে আমরা চলে আসি।