দৈনিকবার্তা-রাজশাহী, ২৯ জুন: রাজশাহীর পুঠিয়ায় সারাদেশের ন্যায় অভ্যান্তরীন গম সংগ্রহ অভিযান ২০১৫ এর আওতায় অতিরিক্ত ৫২৪ মেক্টিক টন সংগ্রহ শুরু হয়েছে। কিন্তু খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার অনিয়মের কারণে প্রকৃত কৃষকের নিকট থেকে গম সংগ্রহের নিয়ম থাকলেও দালালের মাধ্যমে গম সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া সাধারণ কৃষকদের ঝলমলিয়া বাজারে ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি গম বিক্রি করতে দেখাগেছে। আর সরকার কেজি প্রতি ৬ থেকে ৮ টাকা লোকশানে গম ক্রয় করায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গম ক্রয় করছে বলে অভিযোগ করেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছর ১লা এপ্রিল থেকে সারাদেশের ন্যায় অভ্যান্তরীন গম সংগ্রহ অভিযান ২০১৫ এর আওতায় অতিরিক্ত ৫২৪ মেক্টিক টন সংগ্রহ শুরু হয়েছে। তা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে। এবার গমের ক্রয় মূল্য ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, গত সপ্তাহে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা দালালের সাথে যোগসাজসে পানিতে ভেজা নিম্ন মানের গম গোডাউনে ঢুকানো হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার নতুন খাদ্য গুদামের গেটের সামনে চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা একটি গম ভর্তি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখাগেছে এবং গোডাউনের ভেতরে বৃষ্টির ভেতরে ৪ টি পাওয়ার টলি গম পলিথিন দিয়ে ঢাকিয়ে রাখতে দেখাগেছে। পরে রাতের আধারে সেগুলে আনলোড করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে খাদ্য গুদাম অফিসে গিয়ে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক দের কোন তথ্য না দিয়ে ব্যস্ত আছেন বলে জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আঃ মজিদ জানান, এ বিষয়ে আমার জানানাই। আর কোন বিল আমার অফিসে না আসা পর্যন্ত কত টন সংগ্রহ হয়েছে তা বলতে পারবো না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার ফরহাদ আহমদ জানান, সরকারী নিয়মতান্ত্রিক ভাবে কৃষকদের নিকট থেকে গম নেওয়া হবে। বাহিরের যদি গম এসেও থাকে তা নেওয়া হবে না।