দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ জুন ২০১৫: আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি পুনঃমূল্যায়ন করে বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে বিএনপি। প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমানোরও দাবি জানিয়েছে দলটি।সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন এই দাবি জানান।বাজেট পাস হওয়ার আগে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমানোর দাবি জানিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, কুইক রেন্টালের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার যেসব কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে, এতে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রয়োজন। যে সময় এসব চুক্তি করা হয়েছিল, তখনকার সময়ের চেয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে এখন তেলের দাম অনেক কম। তাই এসব চুক্তি পুনঃমূল্যায়ন করে বিদ্যুতের দাম কমাতে হবে। বিদ্যুতের দাম কমিয়ে বাজেট পাস করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, না হলে বুঝতে হবে, সরকার দলীয় লোকদের পকেট ভারী করতে জনগণের পকেট কাটছে।জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট পাস হওয়ার কথা। এর আগমুহূর্তে আসাদুজ্জামান বলেন, ভোটারবিহীন সংসদে বাজেট পাস হচ্ছে। এ নিয়ে বিএনপি খুব বেশি কথা না বললেও জনগণের কাছে দায়বদ্ধতার কারণে কিছু বলতে হচ্ছে। তাঁর দাবি, দেশের অর্থনীতিকে সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত লেজেগোবরে অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। তাঁর স:য়ে দেশের ব্যাংকগুলো তছনছ হয়ে গেছে।
রিপন বলেন, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো ফার্নেস তেলে চলে। সরকার যখন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করে তখন এ ফার্নেস তেলের দাম বেশি ছিল। সে কারণে বিদ্য্যুতের দামও বেশি নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে ফার্নেস তেলের দাম কমেছে। তাই এ বাজেটে বিদ্যুতের দাম কমাতে হবে। যদি বিদ্যুতের দাম কমানো না হয় তাহলে বিএনপির পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে।রিপন অভিযোগ করেন, এ সরকার জনগণের পকেট মারার জন্য ক্ষমতায় এসেছে। তারা ইতোমধ্যে রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকগুলো হরিলুট’ করেছে। দেশের অর্থনীতির অবস্থা লেজে- গোবরে করে ফেলেছে।অভিযোগের তীর অর্থমন্ত্রীর দিকে ছুঁড়ে রিপন বলেন, রাবিস-খবিশ বলে দুনীর্তির দায় এড়াতে পারেন না অর্থমন্ত্রী।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির অপর আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক কাজী মুরাদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।