47948_00000

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ জুন: ২০ দলীয় জোট আমরা মন্ত্রী-এমপি বড় কিছু হওয়ার জন্য নয়। আমরা এদেশটাকে রক্ষা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমরা নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা কর আইনের শাসন, মানুষের মৌলিক অধিকার, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে চাই। এ দেশে জনগনের দিকে সরকারের কোনো নজর নেই অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘ অবৈধ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি করেছে। সাধারণ মানুষের দিকে তাদের কোনো নজর নেই।’’  সোমবার ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লা্ব মিলনায়তনে ২০ দলীয়ে জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা‘ ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে এই বক্তব্য দেন তিনি।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘ দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েই চলেছে। সাধারণ মানুষ, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষেরা রোজার সময়ে দুই বেলা ভালো-মন্দ কিছু খেতে পারছে না।’’‘‘ সরকার আছে শুধু কিভাবে লুটপাট করবে। কি করে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করা যায়।’’ দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের দমনপীড়নের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘‘ প্রতিনিয়ত আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম-নিযার্তন করছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের জামিন হয়েছিলো, আবার তাকে হয়রানি করতে আটকিয়ে দেয়া হয়েছে।’’ ‘‘ অথচ আওয়ামী লীগের লোকজন খুন করে, গুম করে তারা মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। তাদের কাউকে ধরা হচ্ছে না।’’

দেশের মুক্তির জন্য ইফতারে সকলকে দোয়া করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ আমরা মনে করি দেশবাসী ২০ দলীয় জোটকে যদি সহযোগিতা করে ইনশাল্লাহ তারা (সরকার) যত বড় বড়ই কথা বলুক না কেনো, তারা সফল হবে না, কামিয়াব হবে না। আল্লাহ আমাদের সহায় আছেন।’’

ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-নেতাদের বক্তব্যের প্রতি ইংগিত করে তিনি বলেন, ‘‘ এ্ই জালেমরা একদিন বিদায় নেবে। আজ যারা্ বড় বড় কথা বলছে, বাজে নোংরা কথা বলছে, তাদের কি পরিণতি হবে, সেটা তারা বুঝতেও পারছে না।’’‘‘ যখন বুঝবে যে হ্যা আমরা অন্যায় করেছিলাম, ভুল করেছিলাম, তখন তারা দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা পাবে না, আল্লাহর কাছেও ক্ষমা পাবে না। কোখাও তাদের জায়গা হবে না।’’ ক্ষমতাসীনরা দখলবাজ ও মাদকসহ নানা অপকর্মের কঠোর সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘ ক্ষমতাসীনরা দেশের যু্ব সমাজকে ধবংস করতে মাদক আমদানি করছে। তারা নিজেরা নষ্ট হয়ে গেছে, এখন সমাজকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে।’’

জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান আয়োজিত ইফতার পার্টিতে এলডিপির অলি আহমেদ, জাতীয় পার্টির কাজী জাফর আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর আমীনুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিশের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইসহাক, এনডিপির খন্দকার গোলাম মূর্তজা, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, লেবার পার্টির মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, বিজেপির সালাহউদ্দিন মতিন প্রকাশ, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামা ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, ডিএল’র সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, কল্যান পার্টির এমএম আমিনুর রহমান, জাতীয় দলের এহসানুল হুদা, জাগপার সহসভাপতি রেহানা প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমানকে নিয়ে এক টেবিলে বসেন জোট নেত্রী খালেদা জিয়া।

এছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, ২০  দলীয় জোটের  গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া,  মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, সৈয়দ মাহবুব হোসেন, আহসান হাবিব লিংকন, এএসএম শামীম, খালেকুজ্জামান চৌধুরী, আসাদুর রহমান খান, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ,  অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, কবি আল মুজাহিদী ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।

ইফতারে বিএনপির এম কে আনোয়ার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, আবদুল হালিম, হায়দার আলী, ফজলুল হক মিলন, নিতাই রায় চৌধুরী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, হাবিবুর রহমান হাবিব নুরে আরা সাফা, শিরিন সুলতানা, হেলেন জেরিন খান, শ্যামা ওবায়েদ, নিখোঁজ দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদির লুনা, শফিউল আলম প্রধানের মেয়ের ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধানযুদ্ধাপরাধে দন্ডিত মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদী, আবদুল কাদের মোল্লার ছেলে হাসান জামিল, এম কামরুজ্জামানের ছেলে হাসান ইমান ওয়াফি, জাগপার মহিউদ্দিন বাবলু, আবু মোজাফফর মো. আনাস, আসাদুর রহমান খান, শেখ জামালউদ্দিন প্রমূখ নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।