দৈনিকবার্তা_DoinikBarta_

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ জুন: শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ১৯৯১-৯২ অর্থবছর থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৩৩১টি শিল্প কারখানা বিনিয়োগ বোর্ডে নিবন্ধিত হয়েছে।তিনি বলেন,এর মধ্যে স্থানীয় বিনিয়োগে ৩৪ হাজার ২৩১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশী ও যৌথ বিনিয়োগে ৩ হাজার ১শ’টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।তিনি রোববার সংসদে সরকারি দলের সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষের এক প্রশ্নের এ কথা বলেন।আমির হোসেন আমু বলেন, এছাড়াও ৮ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৬টি কুটির শিল্প, ১ লাখ ১০ হাজার ৭৯৬টি ক্ষুদ্র শিল্প রয়েছে।তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারিভাবে পরিচালিত শিল্প কারখানার মধ্যে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি)’র নিয়ন্ত্রণে ১৩টি, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণে ১৭টি এবং বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন (বিএসইসি)-এর নিয়ন্ত্রণে ১৩টি সহ মোট ৪৩টি শিল্প কারখানা রয়েছে।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, দেশকে শিল্পে স্বনির্ভর করতে সরকার বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম মাহজাবিন খালেদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে দেশব্যাপী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা তৈরিকে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ১৭৭টি এসএমই ক্লাস্টারের মাধ্যমে শিল্পায়ন প্রক্রিয়া ব্যাপক গতি আনয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।আমির হোসেন আমু বলেন, এছাড়া আগামী ৫ বছরে ১শ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। বিসিক শিল্পনগরী সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, এছাড়া শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানি শুল্ক ও কর কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অনেক ক্ষেত্রে মূল্য শুল্কে এখন শিল্পপতিগণ কাঁচামাল আমদানি করছে।সরকারি দলের সদস্য মো. সোহরাব উদ্দিনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় দেশের শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশে বৈদেশিক পুঁজি আনয়নে বিভিন্ন দেশের সাথে দ্বি-পাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক পুঁজি বিনিয়োগ চুক্তি সম্পাদনে শিল্প মন্ত্রণালয় তৎপর রয়েছে।তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৫ সালের মে পর্যন্ত ৩১টি দ্বি-পাক্ষিক পুঁজি বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।