শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ জুন: আগামী অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতের বরাদ্দ নিয়ে সংসদে হতাশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। রোববার বাজেট নিয়ে সাধারণ আলোচনায় তিনি বলেন, উন্নয়ন খাতে অনেক মন্ত্রণালয়কে সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৪ হাজার কোটি টাকা। আমরা কি ভবন বানিয়ে দেবো নাকি বেতন দিবো? রোববার সকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপনের পর বাজেট নিয়ে সাধারণ আলোচনা শুরু হয়।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, জাতীয় উৎপাদনের কমপক্ষে ৪ ভাগ শিক্ষাখাতে ব্যয় করা প্রয়োজন। ওয়ার্ল্ড এডুকেশন ফোরাম এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৪ ভাগ থেকে ৬ ভাগ পর‌্যন্ত। অর্থাৎ বাজেটের শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ।নাহিদ জানান, কেনিয়ার মতো রাষ্ট্র বাজেটের শতকরা ৩১ ভাগ শিক্ষায় বিনিয়োগ করছে। বাংলাদেশে যে ১০টি মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন বরাদ্দ পেয়েছে, তার মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হলো আট নম্বর।বাজেটে আমাদের বরাদ্দ হচ্ছে মাত্র ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। আমাদের ডকুমেন্টে যদি বলি, আমরা পিছিয়ে আছি, আমরা অনেক পেছনে চলে গেছি, তাহলে আমি কী উত্তর দিবো? কী জবাব দেবো, আপনারা বলেন।

অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়েছে ইঙ্গিত করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অর্থমন্ত্রী খুবই ব্যস্ত মানুষ। বাজেট প্রণয়ন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু বাজেট বক্তৃতার ১১ পৃষ্ঠায় আমাদের মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে যেটা বলা হয়েছে তা আমাদের বিরোধী পক্ষরাও বলেন না। আমাদের এই ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, আমাদের কলেজে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। অবকাঠামো দরকার, উন্নয়ন দরকার, বেতন দরকার। মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে বলব এই বিষয়টি বিবেচনা করতে।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির বিষয়ে সংসদ সদস্যদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে নাহিদ বলেন, এমপিওভুক্তি না হওয়ায় শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিষয়টির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এটা কীভাবে করা যায় তার জন্য নীতিমালা তৈরি করে এগুনোর চেষ্টা করছি।