দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ জুন: চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ হওয়া তেলের ড্রামে কোকেন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি৷ তাই এজন্য জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ শিগগিরই দলটি বাংলাদেশে এসে কোকেনের পরিমাণ নির্ণয় করবে বলে জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা দফতর৷এই কোকেন আমদানির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ৩ সদস্যের একটি এ তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে সংস্থাটি৷ কোকেন আটকের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ৷কয়েকদফা পরীক্ষার পর শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে,চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ হওয়া সানফ্লাওয়ারের তেল ভর্তি কন্টেনারের একটি ড্রামে রয়েছে কোকেনের উপস্থিতি৷
তবে ড্রামটিতে কী পরিমাণ কোকেন আছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ তাই সহায়তা চাওয়া হচ্ছে জাতিসংয়ের৷ শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে জাতিসংঘের স্থানীয় প্রতিনিধির সাথে আলোচনা হয়েছে৷ আর রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতিসংঘের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে৷ শুধু কোকোনের পরিমাণ নয়, এখন খোঁজা হচ্ছে কন্টেইনার আনার সাথে জড়িতদের৷ এজন্য তদন্তে মাঠে নেমেছে পুলিশও৷ এ ঘটনায় একটি মামলাও হয়েছে থানায়৷ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রামে আটক রয়েছে একজন৷ আর যুক্তরাজ্যে দুই বাংলাদেশি আটক থাকার কথাও জানিয়েছে পুলিশ৷ এদিকে, চালানটি আমদানির বিষয় খতিয়ে দেখতে শুল্ক গোয়েন্দার দফতরের উপপরিচালক জাকির হোসেনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দকৃত ১৮৫ কেজি তেলমিশ্রিত কোকেন নিয়ে তোলপাড় চলছে শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরে৷ ধারণা করা হচ্ছে ওই কনটেইনারে ৫০-৬০ কেজি কোকেন আছে৷ তবে সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা বা বিশেষজ্ঞের সহায়তা দরকার৷
আন্তর্জাতিক সহায়তার ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাইবে শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তর৷ এছাড়া এই কোকেন চোরাকারবারির সঙ্গে দেশি-বিদেশি কোন কোন চক্র জড়িত, খান জাহান আলী এন্টারপ্রাইজ কোম্পানির নামে যে চালানটি এসেছিল তার আটক কর্মচারী সোহেলের সঙ্গে কারা জড়িত, এতে কারা বিনিয়োগ করেছে, কনটেইনারগুলো চট্টগ্রামে খালাস না করে তৃতীয় কোনো দেশে নেয়ার চেষ্টা হয়েছিল কি না- এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে রোববার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে৷এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান৷ তিনি জানান, রোববারই সহযোগিতার ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে৷ অধিদপ্তরের উপরিচালক জাকির হোসেনকে প্রধান করে যে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি হবে তার বাকি দুই সদস্যের নামও রোববার জানানো হবে৷উল্লেখ্য, সূর্যমুখি তেলবাহী আটক কনটেইনারটি চীন থেকে পাঠানো হয় বলিভিয়ার মন্টিকন বন্দরে৷ এরপর সেখান থেকে এটি উরুগুয়ের মন্টিভিডিও বন্দর এবং সিঙ্গাপুর হয়ে ১২ মে চট্টগ্রামে বন্দরে আসে৷ চালানটির রফতানিকারক বলিভিয়ার সান্তা ক্রুজ কোম্পানি থেকে খাতুনগঞ্জের নবী মার্কেটের খান জাহান আলীর প্যাড ব্যবহার করে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি সোহেল সান ফ্লাওয়ার তেলের চালানটি আমদানি করেন৷গত ৬ জুন রাতে বিদেশি একটি গোয়েন্দা সংস্থার দেয়া তথ্যে নগর গোয়েন্দা পুলিশ নবী মার্কেটের খান জাহান আলী এন্টারপ্রাইজে অভিযান চালিয়ে কর্মচারি সোহেলকে আটক করে৷ পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে বন্দরে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের সহযোগিতায় কনটেইনারটি জব্দ করা হয়৷শনিবার নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ওই কনটেইনারের তেলের সঙ্গে কোকেন রয়েছে৷প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাজারে কোকেন অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি মাদক৷ চীনের বাজারে প্রতি কেজি কোকেনের দাম ১ লাখ ৭ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি প্রায় ৮৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা৷
কোকেন চোরাচালানের রুট হিসেবে এখন বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ কলম্বিয়া, বলিভিয়া, মেঙ্েিকা, পেরুসহ দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো থেকেই সাধারণত উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে কোকেনের চালান যায়৷শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ থেকে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডের মতো দেশ হয়ে তা আবার উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপের দেশে যায়৷ বাংলাদেশে কোকেনের তেমন বাজার নেই৷ এখানে নেশাদ্রব্য হিসেবে কোকেনের ব্যবহার নেই বললেই চলে৷ এ দেশে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা এসব অপেক্ষাকৃত কম দামের মাদকের ব্যবহার বেশি৷চট্টগ্রাম বন্দরে ধরা পড়া ভোজ্যতেলের মধ্যে তরল কোকেনের রুটটিও এমনই বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দারা৷ এ মাসের শুরুতে বলিভিয়া থেকে ১০৭ ড্রাম সূর্যমুখী ভোজ্যতেলের চালান চট্টগ্রাম বন্দরে আসে৷ এ চালানটি উরুগুয়ের মন্টিভিডিও থেকে জাহাজীকরণ করা হয়৷ পরে তা সিঙ্গাপুর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে৷ ৮ জুন শুল্ক গোয়েন্দারা এ চালানটি আটক করে পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে কোকেনের অস্তিত্ব পায়৷
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বলিভিয়া থেকে বাংলাদেশ এর আগে কখনোই সূর্যমুখী ভোজ্যতেল আমদানি করেনি৷ আর এ ভোজ্যতেল এসেছে ঋণপত্র (এলসি) না খুলেই৷ অর্থাত্, এ চালানটি অন্য কোনো পণ্যের চালানের সঙ্গে এসেছে৷ শুল্ক গোয়েন্দারা সন্দেহ করছে, কোকেনের চালানটি উত্তর আমেরিকা কিংবা পশ্চিম ইউরোপের দেশে পুনরায় রপ্তানি করা হতে পারে৷ বাংলাদেশ হয়ে এ পথটি হতে পারে সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়া হয়ে সেই কাক্ষিত গন্তব্য৷দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সরাসরি আসা যেকোনো পণ্যের চালানই অত্যন্ত কঠোরভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্সসহ পশ্চিম ইউরোপের দেশের শুল্ক কর্তৃপক্ষ৷ তিন মাসে আগে বলিভিয়া থেকে সূর্যমুখী ভোজ্যতেলের একটি চালান থেকে ৩১৫ কেজি কোকেন আটক করেছে কানাডীয় পুলিশ৷শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, কোকেনের এ চালানটির গন্তব্য বাংলাদেশ নয়, এর পেছনে আরেকটি কারণ কাজ করছে৷ সেটি হলো তরল কোকেনকে গুঁড়া বা পাউডার কোকেনে রূপান্তর করার মতো প্রযুক্তি বা যন্ত্রপাতি বাংলাদেশে নেই৷এ সম্পর্কে জানতে চাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মঈনুল খান বলেন, বাংলাদেশে কোকেনের ব্যবহার নেই৷ এ চালানটি হয়তো বাংলাদেশের জন্য আসেনি৷
মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) সভাপতি বিশিষ্ট চিকিত্সক অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, এ নেশা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় বাংলাদেশে এর ব্যবহার একদমই নেই৷ ধরা পড়া কোকেন বাংলাদেশে ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছ্তেএমন সম্ভাবনা খুবই কম৷ বাংলাদেশ রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও পশ্চিম ইউরোপের মতো উন্নত দেশে এর ব্যবহার বেশি৷
কোকেন কী ও দাম কত: ইরাইথ্রোজাইল্যাসিয়া গোত্রের উদ্ভিদ বা কোকো গাছের পাতা থেকে কোকেন হয়৷ মূলত এ পাতাকে প্রক্রিয়াজাত করে পাউডারের মতো করা হয়, যা কোকেন মাদক হিসেবে পরিচিত৷ ধূমপান, নস্যি ও ইনজেকশন এই তিনভাবে কোকেন নেওয়া হয়৷
কোকেন নিলে প্রাথমিকভাবে শরীরের স্নায়ুতন্ত্রের প্রভাব ফেলে৷ বিশিষ্ট চিকিত্সক অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে কোকেন নিলে যকৃত্ ও হৃদ্যন্ত্রের ক্ষতি হয়৷ আর একবার কোকেন নিলে আমৃতু্য তা নিতে হয়৷মাদক হিসেবে কোকেন অত্যন্ত ব্যয়বহুল৷ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রতি কেজি কোকেনের দাম কমপক্ষে পাঁচ কোটি টাকা৷জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক সংস্থার (ইউএনওডিসি) ওয়ার্ল্ড ড্রাগ রিপোর্ট ২০১৪ অনুযায়ী, ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের হিসাবে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর ৬০ হাজার ৪০০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে কোকেন চাষ হয়৷ আর কলম্বিয়ায় ৪০ হাজার হেক্টর ও বলিভিয়ায় ২৫ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে কোকেন চাষ হয়৷ এ অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে৷ কোকেন চোরাচালানের প্রচলিত রুট হলো দক্ষিণ আমেরিকা থেকে পশ্চিম আফ্রিকায় হয়ে উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপ৷ গত কয়েক বছর ধরে কোকেন চোরাচালানের রুট হিসেবে এশিয়াকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ হওয়া সূর্যমুখী তেলের সেই চালানের একটি নমুনায় তরল কোকেনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে৷ বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এবং বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে পৃথক পরীক্ষায় এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে৷বন্দরে জব্দ হওয়া চালানের ৯৬ নম্বর ড্রামে এই কোকেন শনাক্ত হয়৷ যে ড্রাম থেকে এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, সেখানে ১৮৫ কেজি সূর্যমুখী তেল রয়েছে৷ এই তেলের এক-তৃতীয়াংশে কোকেন থাকতে পারে বলে মনে করছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা৷জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান প বলেন, আমার জানা মতে, এটা বাংলাদেশে ধরা পড়া কোকেনের সবচেয়ে বড় চালান৷ কোকেন সন্দেহে ৬ জুন রাতে কনটেইনারটি বন্দরে সিলগালা করা হয়৷ ৮ জুন এটি খুলে ১০৭টি ড্রামের প্রতিটিতে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল পাওয়া যায়৷ এই তেলের নমুনা প্রাথমিক পরীক্ষা করে কোকেন শনাক্ত না হওয়ায় পরীক্ষাপদ্ধতি নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এবং পুলিশ কর্মকর্তারা৷ এ কারণে তখন অধিকতর পরীক্ষার জন্য সব কটি নমুনা দুটি পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়৷
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হোসেইন আহমেদ গতকাল শনিবার বলেন, দুটি পরীক্ষাগারে একটি নমুনায় কোকেনের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে৷ কোকেন শনাক্ত হওয়ার পর চালানটি এখন কড়া নজরদারির মধ্যে রাখার জন্য বলা হয়েছে৷ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে পুলিশ৷বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সূর্যমুখী তেলের একটি নমুনায় তরল কোকেনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে৷ তবে সব কটি নমুনা এখনো পরীক্ষা হয়নি৷ পর্যায়ক্রমে সব কটি চালানের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত কোকেন পাউডার হিসেবে পাচার হয়৷ তরল কোকেন পাচার হওয়ার বিষয়টি তাঁদের জানা নেই৷ কালোবাজারে টওতি কেজি পাউডার কোকেন ৩৫ কোটি টাকায় লেনদেন হয়৷
বলিভিয়া থেকে সূর্যমুখী তেলের এই চালানটি উরুগুয়ের মন্টিভিডিও বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয় গত ১২ মে৷ চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের খান জাহান আলী লিমিটেডের নামে চালানটি আসে৷ তবে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ এই পণ্য আমদানির সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেন৷ এ ঘটনায় খান জাহান আলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ৷ তবে প্রাথমিক পরীক্ষায় কোকেনের উপস্থিতি শনাক্ত না হওয়ায় তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখায় বন্দর থানা পুলিশ৷মাঠপর্যায়ের পরীক্ষা নিয়ে সন্দেহ ছিল: ৮ জুন বন্দর চত্বরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা রাসায়নিক বিকারক দিয়ে ১০৭টি নমুনা পরীক্ষা করেন৷ এতে কোকেনের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে তখন জানানো হয়৷ নৌবাহিনীর রাসায়নিক শনাক্তকরণ যন্ত্রে পরীক্ষায়ও এসব নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়নি৷ কিন্তু এই পরীক্ষাপদ্ধতি নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না পুলিশ ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা৷মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রসায়নবিদ দুলাল কৃষ্ণ সাহার কাছে জানতে চাওয়া হয়, প্রাথমিক পরীক্ষায় কেন কোকেন ধরা পড়ল না? পরে কীভাবে ধরা পড়ল? জবাবে তিনি বলেন, অোমরা আমাদের একটি পরীক্ষার যন্ত্র বা কিট দিয়ে কোকেনের অস্তিত্ব পরীক্ষা করি৷ তখন ধরা পড়েনি৷ যে কারণে তা পরে অন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে৷