দৈনিকবার্তা-বগুড়া, ২৮ জুন: রোববার বিকেল ৩টার দিকে এলজিএসপি’র আওতায় কাজ করা রাস্তায় নতুন কোন কাজ না করে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির (কাবিখা) কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির (কাবিখা) ডিও আটকে রাখার অভিযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। এসময় তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের বারেকের দোকান সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠ হতে ২য় বাইপাস মহাসড়ক পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য চলতি অর্থ বছরে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির (কাবিখা) আওতায় ৪ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মান্নান বাচ্চু কাজ করার উদ্দেশ্যে ইতিপূর্বে ১ম কিস্তির ২টন চাল উত্তোলন করেন। কিন্তু ওই রাস্তায় আগেই এলজিএসপি’র আওতায় কাজ হওয়ায় নতুন করে কোন কাজ করতে হয়নি। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ আসায় তার নামে বরাদ্দকৃত ২য় কিস্তির ২টন চালের ডিও (ডেলিভেরী অর্ডার) প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আটকে দেয়া হয়।
রোববার দুপুরে ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বাচ্চু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে তার নামে বরাদ্দকৃত চালের ডিও নেয়ার জন্য গিয়ে হৈচৈ করেন। এসময় প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে তাকে ডিও’র ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এরপর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একদল নেতাকর্মী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে গিয়ে চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করেন। এসময় তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বাচ্চু জানান, বেলা ৩টার দিকে তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিকসহ লোকজন নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহানা আকতার জাহান এর কক্ষে যান। এসময় ইউএনও’র কাছে ডিও আটকে রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ফাইল ছুড়ে ফেলে দেন। এঘটনায় উপস্থিত নেতাকর্মী ক্ষুব্ধ হয়ে অফিসের ফুলদানী এবং টি টেবিল ভাঙচুর করেন।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিক জানান, ইউএনও’র কক্ষে যুবলীগ নেতা মামুনের সাথে ইউএনও’র তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে ইউএনও আমাকে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এসময় সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে ইউএনও তার টেবিলে রাখা বিভিন্ন ফাইল পত্র ছুড়ে মারেন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)শাহানা আকতার জাহান বলেন, ডিও’র ব্যাপারে জানতে এসে আমার কক্ষে বসে থাকা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে বের হয়ে যেতে বলেন আওয়ামী লীগ নেতা শফিক। এতে আমি আপত্তি জানালে তারা আমাকে লক্ষ্য করে ফুলদানি ছুড়ে মারে এবং ভাঙচুর চালায়।