দৈনিকবার্তা-সংসদ ভবন, ২৭ জুন, ২০১৫: সংসদ কার্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তির দায়িত্বপ্রাপ্ত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণ সম্ভব হবে । তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য মো. আবুল কালামের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। ন্ত্রী বলেন, ২০১২ সালের জানুয়ারিতে মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণের লক্ষ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ওই প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ‘স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল (এসপিআই)’ নামক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর)’ অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যে বাজার বিশ্লেষণ ও সম্ভাব্যতা যাচাই, বিজনেস প্লান প্রস্তুত, অপারেটিং কোম্পানি গঠনের রূপরেখা প্রণয়ন, অর্থায়নের বিষয়ে বিভিন্ন উৎসের সন্ধান, খসড়া টেন্ডার ডকুমেন্ট ও বিনির্দেশ প্রস্তুত এবং অরবিটাল স্লট বিশ্লেষণ ও চূড়ান্তকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বরে ২ হাজার ৯৬৭ দশমিক ৯৫৭৭ কোটি (জিওবি ১ হাজার ৩১৫ দশমিক ৫১৩৫ কোটি টাকা ও প্রকল্প সাহায্য ১ হাজার ৬৫২ দশমিক ৪৪৪২) টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ’ শীর্ষক প্রকল্পের ডিপিপি একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ১ হাজার ১৯১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংষ অরবিটাল স্লট লীজ ইন ‘রাইট ট ইউজ’/সংগ্রহের ‘প্রকিউরমেন্ট’ এর লক্ষ্যে গত ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়অরিতে বিটিআরসি ও রাশিয়ার ‘ইন্টারস্পুটনিক’-এর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৫ সালের ২৪ মার্চে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সিস্টেম’ ক্রয়ের মূল দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ২৭ এপ্রিলে প্রাক দরপত্র সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইন সিস্টেম’ ক্রয়ের দরপত্র দলিল অনুযায়ী দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল ২০১৫ সালের ১৮ জুন। সরকারি দলের সদস্য মো. তাজুল ইসলামের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা তথা ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি প্রসারের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাগভমেন্ট ও ইনফোসরকার-২ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট সেবা সহজলভ্য করার মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই ৪ দফায় ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের মূল্য কমানো হয়েছে। ভবিষ্যতে বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে এর মূল্য আরো কমানোর বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, ইনফোসরকার-২ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে জনগণের সুবিধার্থে বিনামূল্যে ‘ওয়াই-ফাই’ ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ সুবিধা আরো সম্প্রসারণ করা হবে।