দৈনিকবার্তা-বগুড়া, ২৭ জুন: পবিত্র রামজান মাস ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও বগুড়ার কাহালুর বীরকেদার ইউনিয়নের শেখাহার, ভোলতা, দূর্গাপুর ইউনিয়নের পাঁচপীর, অন্তারপুকুর এবং নারহট্র ইউনিয়নের বিবিরপুকুর সহ উপজেলার প্রায় ছোট বড় দেড় শতাধিক কারখানায় তৈরি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা সেমাই।
উক্ত কারখানাগুলোতে ভোর রাত হতে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে লাচ্ছা সেমাই তৈরির কাজ। প্রতিদিন কারখানাগুলোতে লাচ্ছা সেমাই উৎপাাদিত হচ্ছে প্রায় ২২/২৪ মেঃ ট্রন। কাহালুর বীরকেদার শেখাহার সহ আশে পাশে কারখানা থেকে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা লাচ্ছা সেমাই ক্রয় করে নিয়ে যায়। পরে তারা লাচ্ছা সেমাই আকর্ষনীয় প্যাকেটে তুলে নিজেদের কারখানার তৈরি বলে বেশী দামে বিক্রি করে থাকেন। প্রতিদিন এইসব কারখানা হতে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলার লাচ্ছা সেমাই ব্যবসায়ীরা ১২/১৪টি ট্রাকে লাচ্ছা সেমাই ক্রয় করে নিয়ে যান। উপজেলার বিভিন্ন কারখানায় দুই ধরনের লাচ্ছা সেমাই করা হচ্ছে। একটি সাধারণ মানের লাচ্ছা সেমাই এবং অপরটি ভূনা মানের লাচ্ছা সেমাই (ডালডায় ভাজ)।
সাধারণ মানের লাচ্ছা সেমাই প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ১৬’শ হতে ১৭’শ টাকা এবং ভূনা মানের লাচ্ছা সেমাই প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ২১’শ হতে ২২’শ টাকা। লাচ্ছা সেমাই তৈরীর মূল উপকরণ হলো ময়দা, তেল ও ডালডা। সরেজমিনে গিয়ে শেখাহার বাজারের নূও লাচ্ছা সেমাই, ভাই ভাই লাচ্ছা সেমাই কারখানা সহ বেশ কয়টি কারখানার আশে পাশে ময়লা, আবর্জনা, কাদাযুক্ত পরিবেশে তৈরী করছে লাচ্ছা সেমাই। অধিকাংশ কারখানায় লাচ্ছা সেমাই ভাজা হচ্ছে পামওয়েল তেল দিয়ে। লাচ্ছার খামির দু-পা দিয়ে দলিত করে তৈরী করা হচ্ছে।
খামির তৈরীর মেশিন না থাকায় এখনকার অধিকাংশ কারখানায় পা দিয়ে দলিত করে তৈরী করা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। মানুষের চোখের আড়ালে পা দিয়েই খামি তৈরী করা হচ্ছে। কাহালুর শেখাহার বাজারের সর্ববৃহৎ নূর লাচ্ছা সেমাই কারখানার মালিক রুবেল হোসেন এর সাথে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি জানান, টানা বৃষ্টি হওয়ার কারণে কারখানার পরিবেশ কিছুটা নোংড়া হয়েছে। উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক আব্দুস সালাম এর সাথে মোবাইল ফোনে কথার বলার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাই বগুড়ার কাহালুর শেখাহার সহ উপজেলার প্রায় দেড় শতাধিক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা সেমাই তৈরীর কারখানাগুলোর প্রতি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সু-দৃষ্টি দিবেন কি?