দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৭ জুন: জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ২০১৯ সালে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না।বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে বাইরের রাখার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে বিএনপির অভিযোগের মধ্যে শনিবার জাতীয় সংসদে একথা বলেন তিনি।ইনু বলেন,বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্ধারিত হয়ে গেছে।
সেটা হচ্ছে,আপনাকে রাজনীতির বাইরে থাকতে হবে।আদালতে দাঁড়াতে হবে।২০১৯ সালে একটি নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির নির্বাচন হবে। এতে গণতন্ত্রের অচল মাল সচল হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। আগুন সন্ত্রাসী খালেদা জিয়ার সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ থাকবে না।প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় দাঁড়িয়ে এই কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী, যাকে খালেদা জিয়া বিষয়কমন্ত্রী’ মন্ত্রী আখ্যায়িত করে আসছেন বিএনপি নেতারা।
২০১৩ সালের সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর জামায়াতে ইসলামীর জোটসঙ্গী বিএনপির চেয়ারপারসনকে রাজনীতি থেকে হঠানোর ঘোষণা দিয়ে আসছেন ইনু।তিনি বলেন, কোনো দিনই বাংলাদেশে রাজাকার সমর্থিত, সামরিক সমর্থিত কেউ ক্ষমতায় আসবে না। শেখ হাসিনার বিকল্প আগুন সন্ত্রাস সমর্থিত খালেদা জিয়া কখনোই নন।খালেদা জিয়া নিজেই উন্নয়ন সমৃদ্ধির রাজনীতি থেকে খরচের খাতায় নিয়ে গেছেন। এটা আপনি না বুঝলেও আপনার দলের নেতাকর্মীরা, জনগণ বুঝতে পেরেছে।
অগণতান্ত্রিক শক্তিকে কোনোভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর ঠাঁই না দেওয়ার কথাও বলেন জাসদ সভাপতি। এবার বাজেট ও রোজা একই সাথে এসেছে। অতীতের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, যখনই বাজেট আসে, তখনই বাজার অস্থির হয়ে উঠে। যখন রজমান আসে, জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। কিন্ত এবার একইসাথে আসার পরও নিয়ন্ত্রণে আছে।সরকারের প্রচেষ্টায় বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রশংসায়ও ভাসান আওয়ামী লীগের জোট শরিক দলের এই নেতা। কয়েক বছর ধরে বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কেন? কেন খালেদা-ফখর“দ্দিন পারল না।
শেখ হাসিনার হাতে কোনো জাদুর কাঠি ছিল না। শেখ হাসিনার সংবিধান ও জনগণের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে। এ কারণে জনগণের কষ্টে কাতর হন। এ কারণেই বাজার নিয়ন্ত্রণে।এবার আয়করের হার অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে মন্তব্য করে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে করের পরিধি বাড়ানো পরামর্শ দেন ইনু।আমি কিছু সম্পদের উপর কর দিতে পারি, লভ্যাংশের উপর কর দিতে পারি, সেবার উপর আরও কর দিতে পারি, বিদেশি নাগরিকদের উপর কর দিতে পারি, সরকারের বিভিন্ন রেগুলেটরি সংস্থার আয়ের উপর কর ধার্য করা যায়। তাহলে আমরা করের পরিধি বাড়াতে পারব।
জ্বালানি তেলে ভর্তুকি কমে যাওয়ায় যে অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে, তা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দের সুপারিশ করেন তিনি।তাতে আমাদের লাভই হবে। ক্ষতি হবে না, বলেন এই মন্ত্রী। বাজেট নিয়ে অর্থনীতির সমিতির একটি প্রতিক্রিয়ার জবাবে তিনি বলেন, একটু অপেক্ষা করেন, শেখ হাসিনার হাত দিয়েই কয়েক বছরের মধ্যেই ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হবে। সেখানে বিদেশি ঋণ থাকবে না, অনুন্নয়ন খাত ছোট হয়ে যাবে, উন্নয়ন খাত বাড়বে। আয়কর বেড়ে যাবে আর কী। একটু সময় দিন।