Tofayel-Tofayel

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ জুন: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৪ হাজার ৮৪৮ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সুগন্ধি চাল বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হয়েছে।তিনি বৃহস্পতিবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ সরকার সুগন্ধি চাল রফতানি করে ইটালি থেকে ১ হাজার ৬৫৬ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, সৌদি আরব থেকে ১ হাজার ১৬৭ দশমিক ৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৭২০ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে।তিনি বলেন, এছাড়া মালয়েশিয়া থেকে ২৮৪ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, অস্ট্রেলিয়া থেকে ২৬৬ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, সিঙ্গাপুর থেকে ২০৫ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং কানাডা থেকে ১১৭ দশমিক ০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে।বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,এছাড়া শ্রীলংকায় জি টু জি পর্যায়ে ২৫ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল রফতানি করা হয়েছে।

আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে আইসিটি খাত থেকে এক বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।তিনি বলেন, সরকারের দূরদর্শী চিন্তাভাবনার কারণে টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বিশ্বের ৫ বৃহৎ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সক্ষম হয়েছি।এছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে এক নম্বর আউট সোর্সিং দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা হবে বলেও জানান তিনি।বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত (২০১৫-১৬) অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সারাবিশ্বের কাছে শ্রমনির্ভর অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিচিত। তাই আমাদের তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে দৃষ্টান্ত স্থাপনের করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিবছর ১১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে ২০ হাজার আইটি গ্রাজুয়েট বের করা হচ্ছে। সরকার ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার নির্মাণের মাধ্যমে ১১ হাজার তরুণ-তরুণীকে চাকরি দিয়ে বিশ্বের কাছে নজির স্থাপন করেছে সরকার।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ১২ কোটি ৪৭ লাখ মোবাইল ব্যবহারকারী রয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার ৮১ শতাংশ। এছাড়া ৪ কোটি ৪২ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। এছাড়া ৪ হাজার ৫৪৭টি ইউনিয়ন ডিজিটাল কেন্দ্র (ইউডিসি) এবং ৩৮৭টি পৌরসভা ডিজিটাল কেন্দ্র (পিডিসি) নির্মাণ করা হয়েছে। সারা দেশে ৫ হাজার ২৭৫টি আইটি ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। গত ৭ বছরে সাড়ে ৭ লাখ আইটি পেশাজীবী তৈরি হয়েছে। বর্তমানে দেশের আইটি সেক্টরের ১ হাজার কোম্পানি দেশে-বিদেশে কাজ করছে।তিনি বলেন, ১২টি আইটি পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সবগুলো বিভাগীয় শহরে আইটি পার্ক নির্মাণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে সব জেলা শহরে নির্মাণ করা হবে একটি করে হাইটেক পার্ক।প্রতিমন্ত্রী বলেন, সররকার ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে এক নম্বর আউট সোর্সিং দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবো।