দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ জুন: নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের বিষয়ে রোববার (২৮ জুন) আদেশ দেবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।বৃহস্পতিবার সকালে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ।আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
জামিন শুনানির এক পর্যায়ে আপিল বিভাগ সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে মামলার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে জানতে চান।পরে অ্যাটর্নি জেনারেল সময় চাইলে আদালত রোববার পর্যন্ত সময় দেন। রোববার আদেশের জন্য দিন ধার্য রাখেন।শুনানির সময় আপিল বিভাগের আদালত কক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম উপস্থিত ছিলেন।আদালতে ফখরুলের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন মওদুদ আহমদ ও মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এর আগে গত ১৮ জুন নাশকতার তিন মামলায় বিচারিক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল না হওয়া পর্যন্ত মির্জা ফখরুলকে জামিন দেয় উচ্চ আদালত।বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের হাই কোর্ট বেঞ্চ জামিন প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি নিয়ে অন্তর্র্বতীকালীন জামিনের ওই আদেশ দেয়।এই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে। চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়ে ২৫ জুন শুনানি করতে বলেন।ছয় মাস ধরে বন্দি ফখরুল বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন।
দশম জাতীয় সংসদের বর্ষপূতির দিনে বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনের ডাক দেওয়ার পরদিন ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের পর গ্রেপ্তার হন ফখরুল।এরপর গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও হাতবোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে পল্টন ও মতিঝিল থানার এই তিন মামলাসহ কয়েকটি মামলায় ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।বিচারিক আদালতে এসব মামলায় জামিন না পেয়ে হাই কোর্টে আসেন ফখরুলের আইনজীবীরা। বিএনপির এই নেতা অসুস্থ হয়ে পড়লে আদালতের নির্দেশে তাকে গত ১৩ জুন কাশিমপুর কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।